অসমে নিষিদ্ধ হচ্ছে বহুবিবাহ। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই সংক্রান্ত একটি বিল পেশ করেছেন বিধানসভায়। ওই বিলে বহুগামীতাকে অপরাধ বলা হয়েছে। অসমে বহু বিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিল ২০২৫- এ বলা হয়েছে, বহুগামীতার জন্য সাত বছরের জেল হতে পারে।
বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বিলটি পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বিলটি ষষ্ঠ তফসিলি ভুক্ত এলাকা ছাড়া বাকি রাজ্যে প্রযোজ্য হবে। সংবিধানের ৩৪২ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত তপশিলি জাতি ও জনজাতি সদস্যদের এই বিলের আওতায় আনা হবে না।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সব ব্যক্তির স্ত্রী- স্বামী জীবিত রয়েছেন এবং আইনি প্রক্রিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি তারা পুনরায় বিবাহ করতে পারবেন না। নতুন বিলে বহুবিবাহকে একটি ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যদি কেউ আগের বিয়ে গোপন করে নতুন বিয়ে করে তাহলে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল হতে পারে। মোটা অঙ্কের জরিমানাও হতে পারে।
এছাড়াও ওই বিবাহ প্রক্রিয়ায় জড়িত কাজি বা পুরোহিত গ্রাম প্রধান, মা- বাবা বা আইনি অভিভাবক সহ বিয়েতে উৎসাহিত করা সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
অসমে বহু বিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিল ২০২৫- এ ভুক্তভোগী মহিলাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বহু বিবাহে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি রাজ্য সরকারের কোনো চাকরি পাবে না, সরকারি কোনো প্রকল্পের সুবিধা পাবে না। পঞ্চায়েত পুরসভা ইত্যাদি কোনো নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
এখানেই শেষ নয়, কেউ যদি বারবার একই অপরাধ করেন তাহলে প্রতিটি অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তির দ্বিগুণ দন্ড দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

