হাসপাতাল থেকে টিম হোটেলে ফিরে গেলেন দলের হারে মনমরা শুভমন! ঘাড়ের ব‍্যথা কমে গেলেও দ্বিতীয় টেস্টে এখনও অনিশ্চিত

অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন শুভমন গিল। রবিবার সন্ধ্যায় ছাড়া হয়েছে তাঁকে। টিম হোটেলে ফিরে গিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এখন তাঁর ঘাড়ে ব্যথা অনেকটাই কম। তার পরেও গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছেই।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে খবর, রবিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই দলের হার দেখেছেন শুভমন। ভারত যে ভাবে ইডেন গার্ডেন্সে আড়াই দিনে টেস্ট হেরেছে তাতে মনমরা তিনি। শুভমন হয়তো ভাবছেন, তিনি থাকলে খেলার ফল অন্য হতে পারত। কারণ, দুই ইনিংসেই ১০ জনে ব্যাট করতে হয়েছে ভারতকে। সেই কারণে দলের হারে আরও কষ্ট হয়েছে অধিনায়কের।

রবিবার খেলা শেষে উডল্যান্ডস হাসপাতালে শুভমনকে দেখতে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি প্রথমে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শুভমনের সঙ্গে ১০-১৫ মিনিট কথা হয় তাঁর। বাংলার ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে খবর, সৌরভকে শুভমন জানিয়েছেন, হাসপাতালে দমবন্ধ লাগছে তাঁর। এই কঠিন সময়ে দলের সঙ্গে থাকতে চান তিনি। তাই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, শুভমনের ঘাড়ের ব্যথা কমেছে। ঘাড়ের শক্ত ভাবও অনেকটা কমেছে। আপাতত রবিবার রাত তিনি টিম হোটেলেই থাকবেন। সোমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাঁকে দলের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে কি না। সূত্রের খবর, শুভমনকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারতীয় দল। তাঁকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তেমনটা হলে গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টে শুভমনের খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই। সে ক্ষেত্রে ঋষভ পন্থ দলের নেতৃত্ব দেবেন।

বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছিল, শনিবার ঘুম থেকে ওঠার পরেই শুভমন ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। তার জন্য তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। ব্যাট করতে নামার আগেও তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। নিজের তৃতীয় বলে সাইমন হারমারকে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে ঘাড়ে আবার ব্যথা শুরু হয়েছিল শুভমনের। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে চলে এসেছিলেন ফিজিয়ো। পরীক্ষা করার পর শুভমনকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাত্র তিন বল ক্রিজ়ে ছিলেন শুভমন। সমস্যা এতটাই যে ঘাড় ঘোরাতেই পারছিলেন না শুভমন। মেরুদণ্ডেও সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।

হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর এমআরআই হয়েছিল শুভমনের। সেখানেও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এক বছর আগে এমনই একটি চোট পেয়েছিলেন শুভমন। তখনও এমআরআই করানো হয়েছিল। তখনকার এবং এখনকার এমআরআই-এর ফলাফলের মধ্যে মিল রয়েছে।

চিকিৎসকদের দাবি, শুভমনের বয়স যেহেতু ২৬ বছর, তাই তাঁর মধ্যে সহ্যশক্তি বেশি। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘পেন থ্রেসহোল্ড’ বলে। কিন্তু এ বারের ব্যথা এতটাই যে শুভমন তা সহ্য করতে পারছিলেন না। ফলে চিকিৎসকেরা তাঁকে হোটেলে দলের সঙ্গে রাখতে চাননি। এখন দেখার, শুভমনকে নিয়ে ভারতীয় দল কী সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.