যুব এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিধ্বংসী ইনিংস খেলল বৈভব সূর্যবংশী। দোহায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ৪২ বলে ১৪৪ রান করল সে। তিনশোর উপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছে ১৪ বছরের ব্যাটার। একাধিক নজিরও গড়ে ফেলেছে।
এ দিন আগে ব্যাট করে ভারত ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তোলে। বৈভব ছাড়াও ভাল খেলেন জিতেশ শর্মা। তিনি ৮টি চার এবং ৬টি ছয়ের সাহায্যে ৩২ বলে ৮৩ রান করেন। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানে আটকে যায় আমিরশাহি। ৩ উইকেট গুরজপনীত সিংহের। ১৪৮ রানে জিতেছে ভারত। রবিবার তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
ভারত এ দলের হয়ে ওপেন করতে নেমে এ দিন মাত্র ১৭ বলে অর্ধশতরান করে বৈভব। শতরানে পৌঁছে যায় ৩২ বলে। দ্বিতীয় উইকেটে নমন ধীরের সঙ্গে ১৬২ রান যোগ করে। শেষ পর্যন্ত ১৩তম ওভারে মহম্মদ ফারাজুদ্দিনের বলে সাজঘরে ফেরে সে। বাউন্ডারির ধারে বৈভবের ক্যাচ ধরে আহমেদ তারিক।
ক্রিজ়ে থাকাকালীন আমিরশাহির কোনও বোলারকে রেয়াত করেনি বৈভব। দ্বিতীয় ওভারে মহম্মদ রোহিদ খানকে চার মেরে শুরু। এর পর যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে বৈভবের আগ্রাসন। তৃতীয় ওভারে আয়ান খানকে একটি চার এবং দু’টি ছয় মারে বৈভব। পঞ্চম ওভারে মহম্মদ জাওয়াদুল্লাকে তিনটি চার এবং একটি ছয় মারে।
সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিল ফারাজুদ্দিনের উপরে। সপ্তম ওভারে তাঁকে তিনটি ছয় এবং দু’টি চার মারে। মোট ২৭ রান আসে সেই ওভার থেকে। নবম ওভারে জাওয়াদুল্লাকে তিনটি ছয় মারে। ১১তম ওভারে হর্ষিত কৌশিককে চারটি ছয় এবং একটি চার মারে।
বৈভব খেলেছে ৪২টি বল। তার মধ্যে ২৬টি বলে সে বাউন্ডারি মেরেছে। ১১টি চার এবং ১৫টি ছয় এসেছে বৈভবের ব্যাট থেকে। অর্থাৎ ১৪৪ রানের মধ্যে ১৩৪ রানই করেছে বাউন্ডারি থেকে।
টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম শতরানের নিরিখে ভারতীয়দের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এল বৈভব। দ্রুততম শতরানের নজির রয়েছে উর্বিল পটেলের। গুজরাতের ব্যাটার গত বছর ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ২৮ বলে শতরান করেন। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয় মধ্যে ব্যক্তিগত রানের নিরিখে বৈভব চতুর্থ স্থানে। সকলের আগে তিলক বর্মা (১৫১)।
ম্যাচের পর বৈভব বলেছে, “বাউন্ডারি ছোট ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি। আমার ক্যাচও পড়েছে। ফলে সেটাও আমাকে সাবধানি হয়ে খেলতে সাহায্য করেছে।” এত কম বয়সে যথেষ্ট খ্যাতি পেয়েছে। তাতে কি সমস্যা হয়েছে? বৈভব কৃতিত্ব দিয়েছে বাবাকে। বলেছে, “বাবাই আমার পা মাটিতে রাখতে সাহায্য করেছে। আমাকে কখনও মনঃসংযোগ অন্য কোথাও সরিয়ে দিতে দেয়নি।” স্টেডিয়ামে এত দর্শকের সামনে খেলতে নামলেও চাপে পড়ে না বৈভব। সে আরও জানিয়েছে, গত দু’টি বছরে জীবন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাই আপাতত মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিক করে নিজের কাজ করাটাই তার কাছে আসল।

