ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে যৌথবাহিনীর ‘ফাঁদে’ মাওবাদী গেরিলারা, গুলির লড়াইয়ে নিহত অন্তত ছ’জন জঙ্গি

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল অন্তত ছ’জন মাওবাদীর। মঙ্গলবার বিজাপুর জেলার ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সে সময়ই দু’তরফের সংঘর্ষ শুরু হয়।

বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানা লাগায়ো পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) সদস্যেরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন। সে সময় নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র একটি দলের মুখোমুখি হন তাঁরা। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ, ছত্তীসগঢ় সশস্ত্র পুলিশ (সিসিএফ) এবং বস্তার টাইগার্স-এর জওয়ানেরা।

সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় দু’তরফের লড়াই চলছে জানিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত জঙ্গল থেকে ছ’জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ইনসাস স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, .৩০৩ রাইফেল-সহ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরকও মিলেছে সংঘর্ষস্থলে।’’ মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনেই ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে বস্তার ছত্তীসগঢ় থেকে মাওবাদীদের পুরোপুরি নির্মূল করা হবে।’’ অন্য দিকে, বিজাপুরেরই তরলাগুড়া এলাকার আন্নারাম গ্রামের জঙ্গলে মঙ্গলবার এক আহত মাওবাদীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.