টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিংয়েও ‘অভিষেক শর্মা’কে চান, বলে দিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর

এশিয়া কাপ থেকেই টি-টোয়েন্টিতে জসপ্রীত বুমরাহকে পাওয়ার প্লে-র (প্রথম ৬ ওভার) মধ্যে তিন ওভার বল করানো হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সিরি‌জ়‌েও দু’টি ম্যাচে একই জিনিস দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় শুরু হওয়ার আগে সেই কৌশলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। পাশাপাশি ভারতের কোচ দলে আরও বেশি অলরাউন্ডার চাইছেন। রবিবার রাতে কলকাতায় পা রেখেছেন গম্ভীর। মঙ্গলবার কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার থেকেই অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা।

বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেছেন, শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, বোলিংয়েও আগ্রাসন চান তিনি। অভিষেক শর্মারা বিযাট করতে নেমেই ঝড় তুলছেন। গম্ভীর বুঝিয়ে দিয়েছেন, বোলিংয়েও ওরকম আক্রমণাত্মক মানসিকতা চান তিনি। বলেছেন, “অনেকেই আমাদের টি-টোয়েন্টি দলকে দেখে আগ্রাসী ব্যাটিং দল বলে। আমার মনে হয় পাওয়ার প্লে-তে বুমরাহকে দিয়ে তিন ওভার বল করানোও আগ্রাসনের একটা ধরন। আমরা এমন দল হতে চাই না যেখানে শুধু ব্যাটিংয়ের আগ্রাসনটাই লোকের নজরে পড়ে। সামগ্রিক ভাবে যাতে গোটা দলকে আগ্রাসী লাগে সেই কাজ করতে চাই।”

বুমরাহকে শুরুতেই তিন ওভার বল দেওয়া কেন আগ্রাসনের অঙ্গ সে সম্পর্কে গম্ভীরের ব্যাখ্যা, “আমরা দেখতে চাই ব্যাপারটা কেমন হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমাদের দলের কৌশল ঠিক করতেও সেটা সাহায্য করবে। এশিয়া কাপে এই কৌশল ভালই কাজ করেছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই পাওয়ার প্লে আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি।”

গম্ভীরের সংযোজন, “মাঝের দিকে উইকেট নেওয়ার জন্য বরুণ এবং কুলদীপ তো রয়েছেই। শুরুটা ভাল হলে ওরা স্বাধীন ভাবে মাঝের ওভারগুলোতে বল করতে পারে। ফলে গোটা ম্যাচজুড়ে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হবে আমাদের। এটা আগ্রাসী কৌশল তো বটেই।”

গম্ভীরের আমলে দলে আট ব্যাটারের থাকা প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। তবে ভারতের কোচ জানিয়েছেন, দলে সাত-জন বোলার রাখাও দরকার। এ কারণেই ভবিষ্যতে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব আরও বাড়তে চলেছে।

গম্ভীরের কথায়, “যত বেশি অলরাউন্ডার থাকবে তত ভাল। কম বিকল্পের থেকে বেশি বিকল্প থাকা ভাল। অতীতে বহু বার দলে ছ’জন বোলার থাকার ব্যাপারে ভেবেছি। এই টি-টোয়েন্টি দলটায় সাত-আট জন বল করতে পারে। বছরের পর বছর ধরে আমরা এমন ক্রিকেটার খুঁজে গিয়েছি যে দু’ওভার বল করে দিতে পারে। সেটা টি-টোয়েন্টি হোক বা ৫০ ওভারের ম্যাচ। এখন এমন বোলারদের তৈরি করার চেষ্টা চলছে যারা মাঝের দিকে ব্যাট করতে পারে, আবার দরকারে বলও করে দিতে পারে।”

এ রকমই দুই ক্রিকেটার হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং অক্ষর পটেল। গম্ভীরের আশা, বিশ্বকাপে দু’জনেই ভাল খেলবেন। বলেছেন, “শুধু উপমহাদেশের ক্রিকেটে নয়, ওরা যে মানের ক্রিকেটার তাতে বেশির ভাগ জায়গাতেই সফল হবে। গত সাত-আট মাসে ভারতের সাফল্যে পিছনে অনেকাংশে দায়ী ওয়াশির বোলিং। অক্ষর পাঁচে ব্যাট করে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেছে। কঠিন ওভার বল করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.