হাসপাতালে অসুস্থ প্রেমিকাকে ভর্তি করে দেওয়ার পরই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সোমবার ভোরে সেই তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করেছেন ওই প্রেমিকই! সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এ বার ভোপালের মডেলের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ‘বন্ধু’-কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মৃত তরুণীর নাম খুশবু আহিরওয়ার ওরফে খুশি বর্মা। ২১ বছর বয়সি খুশি মডেলিং করতেন। গত তিন বছর ধরে থাকতেন ভোপালে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভোপালের এক হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় খুশবুকে ভর্তি করান তাঁর ‘বন্ধু’ কাশিম এবং এক বাস কন্ডাক্টর। তবে চিকিৎসকেরা খুশবুকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই পুলিশকে খবর দেন।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুশবুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোপালের গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতার মা লক্ষ্মী আহিরওয়ার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ওই মহিলার কথায়, ‘‘খুশবুর সারা শরীরে নীল দাগ ছিল। ফুলে গিয়েছিল মুখ। এমনকি, তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।’’ লক্ষ্মীর দাবি, তাঁর মেয়েকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, কাশিমের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে (একত্রবাস) ছিলেন খুশবু। কিন্তু হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় খুশবুকে ভর্তি করিয়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন কাশিম। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা দু’জনে উজ্জয়িনী থেকে বাসে করে ভোপালে ফিরছিলেন। সেই সময়ই নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন খুশবু। তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করান কাশিম।
মৃতার মায়ের দাবি, দিন তিনেক আগে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয় কাশিমের। ফোনে তিনি খুশবুর মাকে বলেছিলেন, ‘‘আমি মুসলিম। কিন্তু আমি আপনার মেয়েকে খুব ভাল রাখব। চিন্তা করবেন না।’’ পরে খুশবুও তাঁর মাকে ফোন করে জানান, তিনি ভাল আছেন। সেই শেষ কথা। তার পরে সোমবার হাসপাতালে মৃত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেলেন লক্ষ্মী।
পরিবার সূত্রে খবর, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন খুশবু। কিন্তু প্রথম বর্ষের পরই ছেড়ে দেন পড়াশোনা। ভোপালে থেকেই মডেলিংয়ের কাজ করতেন তিনি। সঙ্গে পার্টটাইম একটা কাজও করতেন। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

