খাপ পঞ্চায়েতের (Khap Panchayat) বদনামের শেষ নেই! তাদের নানাবিধ ‘অপকর্মের’ কথা খবরে তো উঠে আসেই, এমনকি অনেক বলিউড ছবিতেই বিষয় হয় উঠে আসে খাপ পঞ্চায়েতের যথেচ্ছাচার।
তবে সময় সম্ভবত পাল্টাচ্ছে!
হরিয়ানার দাদরি জেলা থেকে আসছে এমনই খবর। দাদরির ফোগট খাপ পঞ্চায়েত সম্প্রতি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
বিয়েবাড়ি হলেই বরযাত্রীর দেদার মদ্যপান। শুধুমাত্র হরিয়ানার গ্রামে কেন শহুরে ভারতেও এখন এটাই অলিখিত নিয়ম। উদ্যোগ নিয়েছেন ফোগট খাপ পঞ্চায়েতের বলবন্ত সিংহ, বলকারাম সিংহরা। নতুন নিয়ম জারি করেছেন তাঁরা। রাত দশটার পর আর এক ফোঁটাও সুরা নয়। নিয়ম ভাঙলে খুশি হবে না খাপ! মদ খেয়ে ঝগডা অশান্তি, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ নিত্য ঘটনা। এসবের বহু অভিযোগ পাচ্ছিল খাপ পঞ্চায়েত। বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েই ফেলল তারা। এমনকি বহুদিনের প্রথা বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়ে নিজেদের বংশমর্যাদা জাহির করা, তাও এবার থেকে বন্ধ।
শহুরে ভারত ও তার প্রশাসন এখনও যা কার্যকরী ভাবে ভেবে উঠতে পারেনি তা করে দেখাল এই খাপ। মদ ও বন্দুকের সঙ্গে রাশ টানা হল আতসবাজীতেও। মদে নয় দুর্ঘটনা বা অশান্তির সম্ভাবনা, বন্দুকেও তাই। তাহলে আনন্দের আতসবাজিতে কেন হস্তক্ষেপ? বলকারাম সিংহ জানাচ্ছেন, অঢেল বাজি ফাটানোয় রাস্তার কুকুর আতঙ্কিত হয়। গবাদি পশুও ভয় পায়, তাদের দুধ কমে যায়। দুষণ তো হয়ই। তার ওপর অর্থনীতির এখন যা হাল, এইসব অপচয় মোটেই ভাল কথা নয়।
বিবাহ উৎসবে এক কথায় মদ, বাজি, বন্দুক হারিয়ে কি বলছে ফোগট খাপের উনিশ গ্রামের মানুষ?
তাদের সবার মুখেই এক কথা, ‘খাপ হি তো বাপ হ্যায়!’