Pakistan Nuclear Bomb: ভারতকে শুধু চাপে রাখা নয়, পাক পরমাণু বোমা তৈরির পেছনে ছিল আরও ভয়ংকর পরিকল্পনা!

পরমাণু বোমা তৈরি করে পকিস্তান মহা খুশি হয়েছিল। কারণ এতে ভরত চাপে থাকবে। এটাই সাধারণভাবে আমাদের মাথায় ভাবনা আসতে পারে। কিন্তু এক প্রাক্তন সিআইএ গোয়েন্দা বললেন একেবারে অন্য কথা। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের ওই বোমা হল ‘ইসলামি বোমা’। পকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ওই বোমা আরও অনেক ইসলামি রাষ্ট্রকে দেওয়া। এমনকি সেই তালিকায় ছিল ইরানও। এমনটাই দাবি প্রাক্তন সিআইএ অফিসার রিচার্ড বারলোর।

১৯৮০ সাল ও পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান যাতে পরমাণু বোমা তৈরি করতে না পারে তার জন্য বহু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকা। সেই মিশনে কাজ করছিলেন বারলো। নজর রাখছিলেন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের উপরে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বারলো বলেন, পাকিস্তানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল পরমাণু বোমা তৈরি করে ভারতকে জব্দ করা। কিন্তু কাদির খান বা অন্যান্যদের কথাবার্তা থেকে বোঝা গিয়েছিল, ওটা শুধু পাকিস্তানি বোমা নয় বরং ইসালামি বোমা।

বারলো আরও বলেন, আব্দুল কাদির খান একসময় বলেছিলেন, দুনিয়াতে খ্রিষ্টান বোমা আছে, ইহুদি বোমা রয়েছে, হিন্দু বোমা রয়েছে, এটা হল ইসলামি বোমা। আমরা কাছে একদম স্পষ্ট যে পাকিস্তান চেয়েছিল পরমাণু বোমা তৈরির টেকনোলজি অন্য মুসলিম দেশকে দিয়ে দেবে।

উল্লেখ্য, পকিস্তানের পরমাণু বোমাকে ইসলামি বোমা বলার রেওয়াজ তা পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের হাত ধরে আসেনি। এই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি খান ভুট্টো। তিনিই আব্দুল কাদির খানের উপরে পরমাণু গবেষণার ভার দিয়েছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বের ৯ দেশের হাতে পরমাণু বোমা রয়েছে। এগুলি হল রাশিয়া, আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ভারত, পাকিস্তান, ইজরায়েল ও উত্তর কোরিয়া। ভারত অনেক আগেই ঘোষণা করেছে সে প্রথম পরমাণু বোমা ব্যবহার করবে না। পাকিস্তান কিন্তু এরকম কথা কখনও বলেনি। ১৯৮০ সালের আগে ইজরায়েল ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিল, দুদেশ মিলে পাকিস্তানের কাহুতা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে বোমা বর্ষণ করার। ভারত তা মানেনি। রিচার্ড বারলো বলেন, সেইসময় তা করা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.