একটা বিশ্বকাপ। তাতেই দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে ছবিটা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা, রাজ্য সরকারগুলি আগেই বিশ্বজয়ীদের জন্য নানা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বিজ্ঞাপনের বাজারেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মন্ধানা, জেমাইমা রদ্রিগেজ়দের চাহিদা।
হরমনপ্রীত, মন্ধানা, জেমাইমাদের মতো শুধু তারকার মর্যাদা পাওয়া ক্রিকেটারদের নয়, বিশ্বজয়ী মহিলা দলের সব ক্রিকেটারের ব্র্যান্ড ভ্যালুই বেড়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যেকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন সেমিফাইনালে শতরান করে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো জেমাইমা।
বিশ্বকাপ জয়ের ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সমাজমাধ্যমে বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। হরমনপ্রীত, মন্ধানা, জেমাইমা ছাড়া দীপ্তি শর্মা এবং শেফালি বর্মার ফলোয়ার বাড়ছে দ্রুত। ‘বেসলাইন ভেঞ্চার’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তুহিন মিশ্র বলেছেন, ‘‘সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সংস্থা খোঁজ খবর শুরু করে দিয়েছে। সব সংস্থাই বিশ্বজয়ী দলের ক্রিকেটারদের চাইছে বিজ্ঞাপনের মুখ হিসাবে। সকলের ব্যাপারেই খোঁজ নিচ্ছে সংস্থাগুলি। এর মধ্যেই আমাদের মহিলা ক্রিকেটারদের এনডোর্সমেন্ট ফি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।’’ ‘জেএসডব্লিউ স্পোর্টস’-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার কর্ণ যাদব বলেছেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের বাজারে জেমাইমার চাহিদা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। অন্তত ১০-১২ রকম পণ্যের বিভিন্ন সংস্থা জেমাইমাকে প্রচার দূত করতে চায়। বাকিদের জন্যও প্রচুর ফোন আসছে। আমাদের দফতরে সমানে ফোন আসছে। জেমাইমার ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে গিয়েছে ১০০ শতাংশ।’’
সূত্রের খবর, জেমাইমাকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করাতে হলে অন্তত ১.৫ কোটি টাকা খরচ করতে হবে এখন। বিশ্বকাপের আগেও লাগত ৭৫ লাখ টাকা। মন্ধানার চাহিদা আগে থেকেই সবচেয়ে বেশি। বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত ১৬টি সংস্থার বিজ্ঞাপনের মুখ ছিলেন তিনি। তাঁর চাহিদাও অনেক বেড়েছে। প্রতিটি বিজ্ঞাপনের জন্য এখন অন্তত ২ কোটি টাকা পেতে পারেন তিনি। যা আগে ছিল ১.৫ কোটি টাকা।
একটি সর্বভারতীয় সংস্থা কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে ফাইনালের আগেই যোগাযোগ করে জেমাইমার ব্যাপারে। কাপড় ধোয়ার সাবানের জন্য মুম্বইয়ের ব্যাটারকে চায়। সেমিফাইনালে মাটি মাখা জার্সি পরা জেমাইমার ছবি ব্যবহার করতে চায় তারা। একটি ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা আগে থেকেই স্পনসর করে হরমনপ্রীত, দীপ্তি এবং রিচা ঘোষকে। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর দিনই সংস্থাটি তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে সমাজমাধ্যমে। বাকি সংস্থাগুলিও বেশি দেরি করতে চাইছে না। বিশ্বজয়ীদের নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের উন্মাদনা তুঙ্গে থাকতে থাকতেই কাজ শুরু করে দিতে চায় তারা।

