অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে দুই বন্ধু, কী করলেন অভিষেক-শুভমন? হঠাৎ ডিভিলিয়ার্সের দ্বারস্থ সূর্য

ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার। সিরিজ়ে সমতা ফেরানোর পর ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা। দুই বন্ধু শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মা এক ফাঁকে ঘুরে এলেন গোল্ড কোস্টের সমুদ্র সৈকতে। অন্য দিকে, ক্রিকেটজীবন বাঁচাতে এবি ডিভিলিয়ার্সের সাহায্য চাইলেন সূর্যকুমার যাদব।

শুভমন এবং অভিষেকের বন্ধুত্ব ছোট থেকে। পঞ্জাবের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৪ পর্যায় থেকে একসঙ্গে খেলছেন। দু’জনেই যুবরাজ সিংহের ছাত্র। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয় দলের ইনিংসও শুরু করেন একসঙ্গে। দু’জনের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা, খুনসুটি লেগেই থাকে। তাঁদের বাঁ হাতি-ডান হাতি জুটিকে সমীহ করে বিশ্বের সব দলই। ক্রিকেটীয় ব্যস্ততার মধ্যে থেকে কিছুটা সময় নিজেদের জন্য বের করে মঙ্গলবার সমুদ্র সৈকতে সময় কাটালেন দুই বন্ধু।

বেশ কিছুক্ষণ সৈকতে ছিলেন শুভমন এবং অভিষেক। শুভমন নীল স্ট্রাইপড ফুল শার্ট এবং সাদা শর্টস পরে গিয়েছিলেন। অভিষেক পরেছিলেন সাদা ফুল শার্ট এবং সাদা শর্টস। সমুদ্রে স্নান করেন তাঁরা। ছবিও তোলেন নানা রকম ভাবে। অভিষেকের মুখে হাসি লেগেই ছিল। মেলবোর্নে রান পেয়েছেন অভিষেক। হোবার্টেও শুরুটা খারাপ করেননি। সম্ভবত সে কারণে বেশি ফুরফুরে দেখিয়েছে তাঁকে। শুভমন রান পাননি শেষ দু’ম্যাচে। তাই সৈকত সফরেও তাঁর মধ্যে উচ্ছ্বাস কিছুটা কম দেখা গিয়েছে। সমাজমাধ্যমে দু’জনের ছবি পোস্ট করেছেন অভিষেক।

এক দিনের ক্রিকেটজীবন বাঁচাতে ডিভিলিয়ার্সের সাহায্য চেয়েছেন সূর্য। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ককে ‘৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটার’ বলা হয়। মাঠের সব দিকে অনায়াসে শট মারতে পারেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হলেও এক দিনের ক্রিকেটে তেমন সাফল্য পাননি। স্থায়ী জায়গা করতে পারেননি ভারতীয় দলেও। তবু আগামী বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তাই সাহায্য চেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ব্যাটারের।

এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে সূর্য বলেছেন, ‘‘ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে দেখা হলে জানতে চাইব, কী ভাবে ও একসঙ্গে টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের ক্রিকেটের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখত। আমি তো পারছি না। সব সময় ভেবেছি টি-টোয়েন্টির মতো করেই এক দিনের ক্রিকেট খেলব। কিন্তু হচ্ছে না। ওর কাছে জানতে চাইব, কী করে একসঙ্গে দু’ধরনের ক্রিকেটেই সফল হওয়া যায়।’’

সূর্যের কথা শোনার পর ওই ইউটিউবার আশ্বাস দেন, তাঁর বক্তব্য দ্রুত ডিভিলিয়ার্সের কাছে পৌঁছে দেবেন। তার পর সূর্য বলেছেন, ‘‘ডিভিলিয়ার্স তুমি আমার কথা শুনতে পেলে দ্রুত আমার সঙ্গে যোগাযোগ কর। আগামী তিন-চার বছর আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক দিনের ক্রিকেট খেলতে চাই। আমাকে দয়া করে সাহায্য কর।’’ উল্লেখ্য, দেশের হয়ে ৩৭টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ২৫ গড়ে ৭৭৩ রান করেছেন সূর্য। ২০২৩ সালের পর আর এক দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.