যাত্রিবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষে অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও কয়েক জন। তবে কী কারণে ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের ট্রেন দুর্ঘটনা? ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যাত্রিবাহী ট্রেনের লোকো পাইলটের ‘দোষেই’ দুর্ঘটনা ঘটেছে!
রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (সিআরএস) পর্যায়ে তদন্ত হবে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কেও সুপারিশ করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ গেবরা রোড এবং বিলাসপুরের মাঝে লালখাদানের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রিবাহী ট্রেনটি বিলাসপুরের দিকে যাচ্ছিল। তবে ট্রেনটি যে লাইনে ছিল, তার আগেই একটি মালগাড়ি ছিল। পিছন থেকে এসে লোকাল ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা মারে ওই মালগাড়িতে। সংঘর্ষের অভিঘাতে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় যাত্রিবাহী ট্রেনটির একাংশ। দুমড়েমুচড়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনটি। কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, একই লাইনে একই সময়ে কী ভাবে দু’টি ট্রেন চলে এল? প্রাথমিক তদন্তের পর রেলের ধারণা, সিগন্যাল ‘লাল’ থাকা সত্ত্বেও যাত্রিবাহী ট্রেনটি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন লোকো পাইলট। সিগন্যাল উপেক্ষা করার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আরও জানা গিয়েছে, ওই লাইনের সব সিগন্যালই স্বয়ংক্রিয়! তবে সংশ্লিষ্ট ওই সিগন্যালে প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য দিকে, মৃতদের পরিবারদের ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।

