Women’s World Cup: ‘মা ওর শক্তি ছিল’, বিশ্বকাপ জিতিয়েই বুক ভাঙা খবর, শুনে চমকে গেলেন ‘ওয়ার্ল্ডকাপ হিরো’…

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত (India vs South Africa, ICC Women’s World Cup Final 2025)। ২০০৫ এবং ২০১৭ সালে মিতালি রাজের (Mithali Raj) ভারত ফাইনালে উঠেও ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু এবার সব হিসেব বদলে ইতিহাস লিখলেন হরমনপ্রীতরা কৌররা (Harmanpreet Kaur)।  নবী মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির সুবজ ঘাস সাক্ষী থাকল নীল ইতিহাসের। তবে বিশ্বকাপ জিতিয়েই বুক ভাঙা খবর পেলেন আমনজ্যোৎ কৌর (Amanjot Kaur)। আপনজনকে হারিয়ে শোকে পাথর ‘ওয়ার্ল্ডকাপ হিরো’…

রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের বড় স্কোর করেছিল। শেফালি ভার্মা ৮৭ রানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এবং বল হাতে দু’টি উইকেটও নেন। অলরাউন্ড ক্রিকেটেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন। তবে এই কাপ জয়ের আরেক কারিগর ছিল আমনজ্যোৎ। যিনি ভয়ংকর হয়ে ওঠা লরা উলভার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ধরে ভারতের জয়ের ভিত্তি স্থাপন করে দেন। ক্যাপ্টেন উলভার্ট ৯৮ বলে ১০১ রান করে আউট হয়ে যান। তিনি থেকে গেলে হয়তো কাপ জেতা হত না ভারতের।

আমনজ্যোতের বাবা ভুপিন্দর সিং জানিয়েছেন যে, তাঁর মা অর্থাৎ আমনজ্যোতের ঠাকুরমা, বিশ্বকাপ চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে   বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে যাতে আমনজ্যোতের মনোযোগে বিঘ্ন না ঘটে সে কারণে পরিবার ভারতীয় তারকাকে কিছুই জানায়নি। ভুপিন্দর বলেন, ‘আমার মা অমনজোতের শক্তি ছিলেন। আমি যখন আমার কাঠমিস্ত্রির দোকানে থাকতাম, তখন মা বাড়ির বাইরে অথবা মোহালির ফেজ ফাইভের-পার্কে বসে আমনজ্যোতের ক্রিকেট খেলা দেখতেন। মাকে ছাড়া আমনজ্যোত এতদূর আসতে পারত না।’ ভূপিন্দর জানিয়েছেন যে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁর পরিবার হাসপাতাল আর বাড়ি করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা  আমনজ্যোতেকে এ বিষয়ে কিছু বলিনি যাতে ওর মনোযোগ খেলা থেকে সরে না যায়। এখন ভারতের জয় আমাদের পরিবারকে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এই আনন্দ আমাদের কাছে মলমের মতো।’ আমনজ্যোত এখন ঠাকুরমার খবর পেয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.