সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে এসেছে মধ্য এশিয়ার শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইরান। তার ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডের কুদ ফোর্সের প্রধান কাসিম সুলেইমানি মারা গেছেন মার্কিন ড্রোন হামলায়। পাল্টা ইরাকের মার্কিন সমরঘাঁটিতে মিসাইল ছুঁড়েছে ইরানের সেনাও ।
ইরানের মিসাইলে ভুলবশত ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান। মৃত সেই বিমানের সকল ১৭৬ যাত্রীই। ইরানে এখন নিজেদের দেশের মানুষই বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই। কারণ মৃত ১৭৬ যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই ইরানী নাগরিক ।
সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি উতপ্ত। ঘরে বাইরে চাপের মুখে ইরান । আমেরিকা-ইরান খারাপ সম্পর্ক আজকের নয়। ১৯৭৯ সালে সে দেশে ইসলামিক বিপ্লব হওয়ার পর প্রগতিশীল ইরানে চালু হয় কট্টর ইসলামিক শরিয়া আইন। যে শরিয়তী আইনে ক্রমে বৈধ হয় মেয়েদের পর্দাপ্রথা ।
নারী স্বাধীনতাকে খুব সূচতুরভাবে হত্যা করা হয়। বৈধ হয় পিতাদের কন্যসন্তানকে বিবাহ করেত পারার মত মধ্যযুগীয় রীতি-নীতি। হিজাব না পরার জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বহু মহিলা তাদের মধ্যে বহু ক্রীড়াবিদ থেকে শুরু করে সমাজের উঁচুস্তরের মহিলারাও ছিলেন ।
তারপর থেকেই বারবার ইরানের সঙ্গে পশ্চিমী বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেখা গেছে বিবাদ, যা ক্রমে বিশালাকার নিয়ে যুদ্ধেরও রূপ নিয়েছে ।
আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইরানে বলবত হওয়া কয়েকটি অদ্ভুত আইন, যেগুলো শুনল অবাক লাগতে পারে ।
১. ইরানে মহিলারা স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে পারেননা পুরুষ পরিচালিত কোনো খেলা। হিজাব না পরে বেরোলে হয় দুমাসের জেল ।
২. এ দেশে টাইট পোষাকের ক্ষেত্রে মহিলাদের উপর আছে নিষেধাজ্ঞা। সে সঙ্গে কোনো বিবাহিত স্ত্রী তার পুরুষ সঙ্গীকে যৌন সম্পর্কে করতে পারেননা মানা। পুরুষ চাইলে জোর করেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয় স্ত্রীদের ।
৩. ইরানে কোনো পর পুরুষের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেননা মহিলারা। হাত মেলালেই হবেন সে দেশে গ্রেফতার ।
৪. এ দেশে কেবল পুরুষরাই দিতে পারেন স্ত্রীদের ‘তালাক’। এছাড়া পুরুষের সম্মতি বিনা মহিলারা করতে পারেননা কোনো কাজই ।
৫. ইরানে মানা ‘টাই’ পরিধানও। এ দেশে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে মানা গান গাওয়াও ।
৬. ইরানে ২০১৩ তে একটি আইন পাশ হয়। এই আইন অনুযায়ী যে কোনো পিতা তার অনুর্ধ ১৩ বছরের পালিতা কন্যাকে করতে পারেন বিবাহ ।