বামপন্থীরাই নষ্ট করছে দেশের শিক্ষার পরিবেশ, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দাবী দুই শতাধিক শিক্ষাবিদের

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দেশের দুই শতাধিক শিক্ষাবিদ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছেন, যাতে দেশের শিক্ষার পরিবেশের অবনতির জন্য বামপন্থী আদর্শের অনুসরণকারীদের দায়ী করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে যে বামপন্থী এক্টিভিস্টদের ক্রিয়াকলাপ দেশের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে বসেছে । আমরা হতাশ যে ছাত্র রাজনীতির নামে একটি বিঘ্নঘটনকারী বামপন্থী অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জেএনইউ থেকে জামিয়া, এএমইউ থেকে যাদবপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের ক্ষযিষ্ণু শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছে। এর পেছনে বামপন্থী নেতাকর্মী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে ।

চিঠিতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্বাক্ষর করেছেন। সরকারী সূত্রে জানা গেছে, চিঠির বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে হরি সিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরপি তিওয়ারি, দক্ষিণ বিহারের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এইচসিএস রাঠোর এবং সরদার প্যাটেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীশ কুলকার্নি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বামপন্থী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিবৃতি’ শীর্ষক এই চিঠিতে এই উপাচার্যসহ মোট ২০৮ জন শিক্ষাবিদের স্বাক্ষর রয়েছে ।

এই ২০৮ শিক্ষাবিদদের বক্তব্যকে, শিক্ষাবিদদের সমর্থন হিসাবে দেখা হচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের পরে লেখা এই চিঠিকে সরকারকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

চিঠিতে, বামপন্থী দলগুলির বিরুদ্ধে কটূক্তি বলেছে যে বামপন্থী রাজনীতির দ্বারা আরোপিত সেন্সরশিপ জনসমক্ষে কথা বলা এবং যে কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখাকে কঠিন করে তুলছে ।

শিক্ষাবিদরা প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলেন যে বামপন্থীদের দাবিতে রাজি হওয়ার জন্য ধর্মঘট, পিকেট এবং শাটডাউন সাধারণ বিষয়। কিছু লোককে ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, বদনাম করা হচ্ছে এবং বাম মতাদর্শের অনুসারী না হওয়ার জন্য হয়রানি করা হচ্ছে। এই ধরণের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেন দরিদ্র শিক্ষার্থী এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়ের লোকেরা। এই শিক্ষার্থীরা নিজের জন্য আরও ভাল শেখার এবং ভবিষ্যত তৈরি করার সুযোগ হারিয়েছে। তারা তাদের মতামত এবং বিকল্প রাজনীতিতে কথা বলার স্বাধীনতাও হারাতে চলেছে। ছাত্রদের বাম রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। চিঠিতে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্র হয়ে শিক্ষার স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা এবং ধারণার বহুত্বের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.