পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) মহিলা ব্রিগেডে নতুন এক মহিলা যোগ দিয়েছে। শুরার (কাউন্সিল) সদস্য হিসেবে নিযুক্ত আফিরা বিবিকে (Afira Bibi) নিয়ে এখন চর্চা চলছে। পুলওয়ামা হামলার (Pulwama Attack 2019) মূলচক্রী উমর ফারুকের (Umar Farooq) স্ত্রী আফিরা। জইশ তাদের মহিলা শাখা ‘জামায়াত-উল-মোমিনাত’-এ আরও এক বিশিষ্ট মুখকে যুক্ত করল!
কে এই আফিরা বিবি?
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার ক্ষত আজও টাটকা। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কে ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের বহনকারী এক কনভয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছিল জইশ। নৃশংস জঙ্গিহানায় সিআরপিএফ-এর ৪০ জন নিহত হয়েছিলেন। পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার মূলচক্রী উমর ফারুকের স্ত্রীই আফিরা। তাকে শুরার (পরামর্শদাতা পরিষদ) সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তার কাজ হল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের সঙ্গে জামাত-উল-মোমিনাত-এর কার্যক্রম তদারকি করা।
মাসুদ আজহারের সন্ত্রাসী পরিকল্পনার সুন্দর মুখ আফিরা। যে এখন পাকিস্তানি মেয়েদের সন্ত্রাসবাদী বানানোর কাজ করবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তান আবারও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে ব্যাপক ভাবে অর্থায়ন করছে এবং ছাড়ও দিচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জইশের মহিলা শাখা তাদের প্রচারণা এবং মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে। এই সংগঠন নারীদের প্রভাবিত করে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত করে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে দাচিগাম জাতীয় উদ্যান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আফিরার স্বামী উমর ফারুক নিহত হয়েছিল।
আফিরা এবং সাদিয়ার জন্য জৈশের পরিকল্পনা কী?
সূত্রের রিপোর্ট যে, জৈশ তাদের মহিলা সদস্যদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এখন আফিরা এবং সাদিয়ার নেতৃত্বে জামাত-উল-মোমিনাত মহিলাদের উগ্রপন্থী করে তুলবে। ‘ধর্মীয় শিক্ষা’ এবং ‘সামাজিক কার্যকলাপের’ আড়ালে নিরীহ মহিলাদের এবার মগজ ধোলাই করা হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস যে, এটি সন্ত্রাসী সংগঠনের এক নতুন কৌশল, যা উগ্রপন্থীকরণ এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে আরও বাড়াতে ‘নারীর ক্ষমতায়ন’-এর মিথ্যা ছদ্মবেশ ব্যবহার করে।

)