‘ভাল মানুষ ভেবেছিলাম’! কেন ধৃতের সঙ্গে শৌচালয়ের দিকে গিয়েছিল? কাঁদতে কাঁদতে মাকে জানায় এসএসকেএমে ধর্ষিতা

অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে কেন শৌচালয়ের দিকে গিয়েছিল? মায়ের প্রশ্নে কেঁদে ফেলেছিল এসএসকেএম হাসপাতালে নির্যাতিতা কিশোরী। সে জানায়, অভিযুক্তকে সে ‘ভাল মানুষ’ ভেবেছিল। সেই কারণেই তাঁর কথায় রাজি হয়ে তাঁর সঙ্গে গিয়েছিল। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কী উদ্দেশ্য, কিছুই বুঝতে পারেনি।

এসএসকেএম-এ গত বুধবার নির্যাতনের শিকার হয় কিশোরী। অভিযোগ, ডাক্তার সেজে এসে তাকে ভুল বুঝিয়ে শৌচালয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। পুরুষদের শৌচালয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে হেনস্থা করা হয়। কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সেই সংক্রান্ত মামলা রুজু করেছে পকসো আইনে। আপাতত ধৃত পুলিশি হেফাজতে। মা এবং দাদুর সঙ্গে এসএসকেএম-এর বর্হিবিভাগে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল কিশোরী। ছিল মনোরোগ বিভাগে। সেখানেই হাসপাতালের পোশাক পরে অভিযুক্ত তার কাছে আসে এবং মা ও দাদুর কাছ থেকে তাকে নিয়ে যায়।

কিছু ক্ষণ পরে শৌচালয় থেকে কিশোরীর চিৎকার শুনে লোকজন জড়ো হয়ে যায় ঘটনাস্থলে। অভিযুক্ত ধরা পড়ে যান। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসার পর কিশোরীকে তার মা এবং দাদু বার বার জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন সে অচেনা যুবকের সঙ্গে শৌচালয়ের দিকে গিয়েছিল? উত্তরে বার বার একটিই কথা জানায় কিশোরী। বলে, ‘‘আমি ওকে ভাল মানুষ ভেবেছিলাম।’’

হাসপাতাল চত্বরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যে কিশোরীকে শৌচালয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, তা ফুটেজে দেখা গিয়েছে বলে খবর। ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে তাঁর পুলিশি হেফাজত এবং ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। চাওয়া হয়েছে গোপন জবানবন্দির অনুমতিও। ধৃতকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে পকসো আদালত।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এই ঘটনায় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পৃথক ভাবে রিপোর্ট চেয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অতীতে যুবক শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। সেই সূত্রে এসএসকেএম-এও তাঁর যাতায়াত ছিল। কেন তিনি কিশোরীকে নিশানা করলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.