সঙ্গীতজগতে ফের ছন্দপতন। প্রয়াত আমেরিকান শিল্পী ডি’অ্যাঞ্জেলো। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। দীর্ঘ দিন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন গায়ক। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক শহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। গায়কের পরিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এই খবর জানিয়েছে।
ডি’অ্যাঞ্জেলোর পুত্র মাইকেল জুনিয়র সংবাদমাধ্যমের কাছে শোকপ্রকাশ করেছেন। কয়েক মাস আগেই মাইকেল তাঁর মা অ্যাঞ্জি স্টোনকে হারিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ এই কঠিন সময়ে আপনারা সকলে প্রার্থনা করেছেন। এই বছরটা আমার জন্য খুব কঠিন এবং দুঃখের। আমি অনুরোধ করব, আপনারা ভবিষ্যতেও আমার জন্য প্রার্থনা করবেন। আমার জন্য এই সময়ের সঙ্গে লড়াই করা মোটেই সহজ হবে না। তবে আমার মা-বাবা দু’জনেই শিখিয়েছেন, যে কোনও মুহূর্তে নিজেকে শক্ত রাখতে হয়। আমি শুধু সেটুকুই করতে চাই।”
বেশ কয়েক মাস ধরে হাসপাতালে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ডি’অ্যাঞ্জেলো। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার শিল্পীর মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের তরফ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের পরিবারের উজ্জ্বল তারা এ জীবনের মতো খসে পড়েছেন। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে মাইকেল ডি’অ্যাঞ্জেলো আর্চার, যিনি অনুরাগীদের মধ্যে ডি’অ্যাঞ্জেলো নামে পরিচিত, তিনি ১৪ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন। গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা এই খবর আপনাদের জানাচ্ছি।” ডি’অ্যাঞ্জেলোর ২৭ বছরের পুত্রকে নিয়ে গোটা পরিবার খুব চিন্তিত। বিবৃতিতে তাঁদের বক্তব্য, “২৭ বছরের ছেলেটাকে অল্প সময়ে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে।”
গ্র্যামি পুরস্কার প্রাপ্ত গায়কের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ব্রাউন সুগার’, ‘মি অ্যান্ড দোজ় ড্রিমিং আইজ় অফ মাইন’, ‘ডেভিল্স পাই’ ইত্যাদি।