আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। কাবুল এবং পকতিকায় পাক সেনার হামলা এবং তার পাল্টা হিসাবে তালিবানের হাতে পাকিস্তানের সেনাদের হত্যা নিয়ে উত্তাল দুই দেশই। এই অবস্থায় পাকিস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজ় খেলতে আসা অনিশ্চিত আফগানিস্তানের। তাই বিকল্প ভাবনা তৈরি রাখতে চাইছে পাকিস্তান বোর্ড।
জানা গিয়েছে, বোর্ড প্রধান মহসিন নকভির প্রয়াসে অন্য কোনও দেশকে আমন্ত্রণ জানানোর ভাবনা চলছে। তবে প্রত্যেকেরই নিজস্ব সূচি থাকায় কারা আসবে তা স্পষ্ট নয়। ত্রিদেশীয় সিরিজ় চলবে নভেম্বরের ১৭-২৯ পর্যন্ত। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ছাড়াও শ্রীলঙ্কার অংশ নেওয়ার কথা।
তার আগে নভেম্বরের ১১-১৫ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে পাকিস্তানের। তার পর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ় হওয়ার কথা। আবার ১-১০ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আর একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপের আগে এক দেশের বিরুদ্ধে বার বার খেললে আদৌ কি পাকিস্তানের কোনও লাভ হবে?
জানুয়ারির ওই সিরিজ় হলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঝামেলা লাগতে পারে পাকিস্তানের। সেই সময়ে সে দেশে বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) হওয়ার কথা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা অনাপত্তি শংসাপত্র (এনওসি) পাবেন ধরে নিয়েই তাঁদের নিয়েছে দলগুলি। সেই সময়ে পাকিস্তান খেললে তাদের ক্রিকেটারদের ছাড়া হবে না। ফলে বিবিএলের দলগুলি বিপদে পড়বে।
বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদি, হাসান খান, হ্যারিস রউফ, হাসান আলির খেলার কথা বিবিএলে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জানুয়ারির সিরিজ় হলে এই ক্রিকেটারদের ছাড়াই খেলতে হবে পাকিস্তানকে। অথবা এনওসি প্রত্যাহার করতে হবে, যেটা হলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঝামেলা তৈরি হবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে পাক বোর্ডকে। তাদের দাবি, পাক ক্রিকেটারদের সামনে রেখে কোটি কোটি টাকার প্রচার চালানো হয়েছে। এখন কোনও ভাবেই এনওসি প্রত্যাহার করা যাবে না। সব মিলিয়ে জোড়া চাপে পাকিস্তান।