সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ মামলার রায় সকলের জন্য নয়, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করল সুপ্রিম কোর্ট

সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলার রায় সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। ওই রায় কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তা সোমবার স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সিঙ্গুরে ‘টাটা মোটর্‌স’-এর কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে অবৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালে ওই রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ওই জমি ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিল, ২০১৬ সালের ওই রায় শুধুমাত্র কৃষকদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল। কোনও বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ওই রায় ছিল না।

টাটার ‘ন্যানো’ কারখানার জন্য সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের সময়ে ‘শান্তি সেরামিক্‌স’ নামে এক সংস্থার থেকেও জমি নেওয়া হয়েছিল। তাদের ২৮ বিঘা জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল। ওই জমি (বাণিজ্যিক পরিকাঠামো-সহ) অধিগ্রহণের জন্য সংস্থাকে সরকারের তরফে ১৪ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছিল সেই সময়ে। পরে জমি ফেরত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘শান্তি সেরামিক্‌স’ নামে ওই সংস্থা। হাই কোর্ট সংস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছিল।

হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, ২০১৬ সালের ওই রায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য নয়। আদালত ব্যাখ্যা করে দিয়েছে, ওই রায় শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য প্রযোজ্য ছিল। পাশাপাশি, ওই সংস্থা জমি দেওয়ার পরে ক্ষতিপূরণও নিয়ে নিয়েছে। তা-ও এত দিন পরে কেন জমি ফেরত চেয়ে তারা মামলা করেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই সংস্থার দাবির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। কলকাতা হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটিও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.