গোটা বিশ্বের সঙ্গে লড়াই করে যেতে পারে না ইজ়রায়েল। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে তা বুঝিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নেতানিয়াহু কথা শুনেছেন। যার ফলে গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নিজে এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে তাঁর কী কী কথা হয়েছিল, তা-ও ফাঁস করেছেন।
গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর জন্য ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। দুই পক্ষই আপাত ভাবে তাতে রাজি হয়েছে। পণবন্দিদের মুক্তি এবং সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। ট্রাম্প তাতে খুশি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ়কে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘এই শান্তিচুক্তি সারা বিশ্বকে একজোট করেছে। এটা অসাধারণ। আমি এমন কিছু আগে দেখিনি। ইজ়রায়েলের জন্য তো এটা খুবই ভাল।’’
এই সাক্ষাৎকারেই নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনের কথোপকথন ফাঁস করেন ট্রাম্প। বলেন, ‘‘গাজ়া চুক্তি ঘোষণার পর বিবি (নেতানিয়াহুকে এই নামে ডাকেন ঘনিষ্ঠজনেরা) আমাকে ফোন করেছিল। বলল, ‘আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না! সকলে এখন আমাকে পছন্দ করছে!’ আমি তখন ওকে বলি, ‘সকলে ইজ়রায়েলকে আবার ভালবাসছে, সেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ।’ সকলে সত্যিই ইজ়রায়েলকে পছন্দ করছে।’’ ট্রাম্প ফোনে এর পর নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, ‘‘ইজ়রায়েল সারা বিশ্বের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না।’’ নেতানিয়াহু তা বুঝেছেন এবং সেই মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
কী ভাবে ইজ়রায়েল এবং হামাসকে রাজি করানোয় এমন সাফল্য পেলেন? ট্রাম্পের মতে, পরিস্থিতি এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ভাগ্য তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আমার পক্ষে ছিল। যেমন ইরানের পরমাণু শক্তিকে নিষ্ক্রিয় করা। এটাও এখনই ঘটল। এত ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যা অবাক করার মতো। এখানে ভাগ্যেরও একটা ভূমিকা ছিল বৈকি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাগ্য সঙ্গে থাকা প্রয়োজন।’’দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ভাগ্য তাঁকক
গাজ়ার শান্তি প্রস্তাবের প্রথম দফার শর্তগুলি মেনে নিতে রাজি হয়েছে ইজ়রায়েল এবং হামাস। সমাজমাধ্যমে এ কথা ঘোষণা করে ট্রাম্প লেখেন, ‘‘এটা আমেরিকা, আরব দুনিয়া, ইজ়রায়েল এবং আশপাশের দেশগুলির জন্য একটা দারুণ দিন।’’ তিনি জানিয়েছেন, পণবন্দিদের শীঘ্রই মুক্তি দেবে হামাস। ইজ়রায়েলও পূর্বনির্ধারিত সীমানা পর্যন্ত তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। যুযুধান দু’পক্ষকে রাজি করানোর জন্য ট্রাম্প মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিশর এবং তুরস্ককে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

