‘নিখুঁত ক্রিকেট না খেলেও আমরা জিতছি, এটাই প্রতিপক্ষের ভয়’! দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে অদ্ভুত যুক্তি জেমাইমার

এক দিনের বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথম দু’ম্যাচে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় এলেও হরমনপ্রীত কৌরের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভারতীয় শিবিরে অবশ্য আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। দলের অন্যতম ব্যাটার জেমাইমা রদ্রিগেজ মনে করেন, তাঁদের নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে না পারাই নাকি প্রতিপক্ষের চিন্তার কারণ!

বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখে হয়েছিলেন জেমাইমা। তাঁকে দলের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার। জেমাইমার বক্তব্য, ‘‘আমরা প্রতিযোগিতায় এখনও নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে পারিনি। তবু পর পর ম্যাচ জিতেছি। আমার তো মনে হয়, এটাই প্রতিপক্ষদের উদ্বেগের কারণ।’’

দলের ব্যর্থতার মতো নিজের রান না পাওয়া নিয়েও চিন্তিত নন জেমাইমা। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ দল খুব ভাল বল করেছে। ওই ম্যাচে আমার পক্ষে বেশি কিছু করা সম্ভব ছিল না। দ্বিতীয় ম্যাচে হারলিন কৌরের সঙ্গে আমি ৪৭ রানে জুটি তৈরি করেছিলাম। আমি নিজের রান নিয়ে ভাবছি না। দলের রানই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে পিচগুলোয় আমরা খেলেছি, সেগুলো বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। ব্যাট করা সহজ ছিল না। আমরা ২২ গজে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল দলকে অন্তত ২৫০ রানে পৌঁছে দেওয়া। আগেই বললাম পিচ কঠিন ছিল। তাই সাবধানে খেলতে হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘নিজের রানের কথা ভেবে খেলি না কখনও। আমার লক্ষ্য থাকে দলের জন্য কিছু করা। দলের স্বার্থে খেলার মানসিকতা নিয়ে খেলি। জানি দল এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী খেলতে পারলে পারফরম্যান্স এমনই হবে। আমি দলের জন্য পারফর্ম করতে চাই।’’

দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে জেমাইমা বুঝিয়ে দিয়েছেন, পারফরম্যান্স নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামাতে চাইছেন না। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য দলের জয়। কিন্তু ক্রিকেটের তিন বিভাগেই ঠিক মতো পারফর্ম করতে না পারলে, শক্তিশালী দলগুলিকে কি হারানো সম্ভব? বিশ্বকাপের শুরুতেই হরমনপ্রীতেরা ব্যর্থতা ঢাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.