দুদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যে আসছেন শনিবার | তা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক জল্পনা | শুক্রবার রাতেই গোটা দেশ ব্যাপী সিএএ কার্যকর করার নোটিফিকেশন জারি করেছে কেন্দ্র | এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রধানের সমীকরণ ঠিক কেমন হবে তা দেখতে উদগ্রীব রাজ্যবাসী থেকে রাজনৈতিক নেতারা | কয়েকদিন আগেই সারা দেশ ব্যাপী ধর্মঘট ডেকে বামেরা পথে নেমেছিল | তখন তাদের নেতাদের মুখে মোদি-দিদি বোঝাপড়ার কথা উঠে এসেছিল বারাবার | ইস্যু সমর্থন করে মমতার পথে নামা নিছকই ভোট রাজনীতি | ভিতরে ভিতরে আসলে চূড়ান্ত সমঝোতার কথাই বলেছেন বাম নেতারা |
এই পরিস্থিতিতে মোদির রাজ্য সফরে বাম-কংগ্রেসের জোটের কোন বিক্ষোভ কি অপেক্ষা করছে তা সময় বলবে | প্রসঙ্গত, ইদানীং কালের মধ্যে মোদি-মমতাকে এক মঞ্চে দাঁড়াতে দেখা যায়নি | পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০বছরের অনুষ্ঠানে তা হওয়া সম্ভাবনা প্রবাল | যেমন প্রবল সম্ভাবনা রাজ্যপালের মধ্যস্থতায় দুজনের রাজভবনে বৈঠকেরও | সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিজে | জেএনইউ সহ একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনার অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
সেসময়ে মোদির সঙ্গে কোন সৌজন্য সাক্ষাত কি করবেন মমতা ? নাকি প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখার মরিয় চেষ্টা করবেন তিনি | কারণ কংগ্রেস বাম শিবিরের জোটে অনেক সংখ্যালঘুকেই হেলতে দেখা গিয়েছে ধর্মঘটকে ঘিরে যা তৃণমূল কংগ্রেসের মাথা ব্যাথার কারণ হে দাঁড়িয়েছে | আসন্ন পৌরসভা বা ২০২১ সালের ভোটের দিকে তাকিয়ে এই সমীকরণের দিকে নজর রাখতেই হবে শাসক শিবিরকে যদি ক্ষমতায় আবার ফিরে এসতে হয় |
তাই আগামী দুদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের পাশাপাশি অবশ্যই নজর থাকবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গতিবিধির উপরে | শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশবাসীর বললেও খুব ভুল হবে না | যদিও এই রাজ্যে আসা নিয়ে নিজের উচ্ছাসকে চেপে রাখেননি প্রধানমন্ত্রী | কয়েক ঘন্টা আগে ট্যুইট করে লেখেন,আমি খুব খুশি আগামী দুদিন পশ্চিমবঙ্গে থাকবো বলে | উচ্ছসিত রামকৃষ্ণ মিশনে সময় কাটানোর কথা ভেবে | আমার কাছে বরাবরই এই স্থানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে |প্রসঙ্গত ,তার এই সপ ঘিরে রাজ্যে সরকার আটোসাঁটো করেছে তার আসা যাওয়ার রাস্তা ঘাট | বিকেল ৪টে নাগাদ এসে পৌঁছনোর কথা প্রধানমন্ত্রীর |