জুম্মার নামাজের পর বালুচিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম ও পুলিশকর্তা সহ নিহত ১৫

শুক্রবার বালুচিস্তানের কোয়েটা শহরের গাউসাবাদ এলাকায় একটি মসজিদের ভিতরে বড় বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে একজন পুলিশ অফিসারসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণে নিহত পুলিশ অফিসারকে সনাক্তকরণের পর পরিচয় জানা গেছে পুলিশ উপ পুলিশ সুপার হাজী আমানউল্লাহ বলে অন্যান্য হতাহতদের এখনও সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বালুচিস্তানের আইজি আমজাদ বাট জানিয়েছেন, মাগরিবের নামাজের পরে মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে ডিএসপি আমানউল্লাহ এবং মসজিদের ইমামও রয়েছেন ।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য শুরু করা হয়েছে। আহতদের যত্ন নিতে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভ এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, জঙ্গিরা পাকিস্তানের উন্নয়নে ভয় পেয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক শত্রুরা দেশে আতঙ্ক ও অশান্তি তৈরির জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করছে। পরাজিত সন্ত্রাসবাদীদের কখনই সফল হতে দেওয়া হবে না। প্রশাসন উপদ্রুত অঞ্চলটি অবরুদ্ধ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকার সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে ।

এখনও কেউ এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর জানিয়েছে যে বালুচিস্তান থেকে ফ্রন্টিয়ার কর্পের (এফসি) সৈন্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং পুলিশের সঙ্গে যৌথ অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করছে। আইএসপিআর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার বরাত দিয়ে বলেছে যে পুলিশ এবং প্রশাসনের সকলকে সম্ভাব্য সহায়তা দেওয়া উচিত। মসজিদে যারা নিরীহ মানুষকে নিশানা করে তারা কখনই সত্যিকারের মুসলমান হতে পারে না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.