LOC এখন দুর্ভেদ্য! তাই বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে ভারতে আতঙ্কবাদ ছড়াতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ট্রেনিং দিচ্ছে পাকিস্তান।

পৃথিবীর স্বর্গ হিসেবে পরিচয় পাওয়া কাশ্মীরে পাকিস্তানের বিগত কিছু দশকে যে আতঙ্কবাদ ছাড়িয়েছে তার দরুন কাশ্মীর তার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছে। তবে ধারা ৩৭০ অপসারণের পর থেকে কাশ্মীরে আতঙ্কবাদী অনুপ্রবেশ ও কট্টরপন্থী গতিবিধি প্রায় বন্ধ হয়েছে। LOC এর প্রান্ত দিয়ে পাকিস্তান এখন আতঙ্কবাদীদের প্রেরণ করতে পারছে না। তাই এবার বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারতরোহিঙ্গা আতঙ্কবাদীদের প্রেরণ করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একদিকে দেশে থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের যখন বাইরে বের করার কথা জোর ধরছে, আবার আরেক দিকে রিপোর্ট সামনে এসছে যে পাকিস্তান বাংলাদেশে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশকে পাকিস্তান ফান্ডিং করছে এবং এই ফান্ডিং ব্যবহার করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

একই সাথে সূত্রগুলি আরও জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, জামায়াত-উদ-দাওয়া, জাইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হাফিজ সৈয়দের সংস্থা ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের অনেক এজেন্টও রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে চরমপন্থা বাড়ানোর জন্য কক্সবাজার অঞ্চলে সক্রিয়। বাংলাদেশের কক্সবাজার এমন এক অঞ্চল যেখানে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস করে।
এই খবর গুলি আসার পর রোহিঙ্গার সন্ত্রাসী গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য NIA, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)এবং RAW কে এলার্ট করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদী সংযোগগুলির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে সতর্ক করা হয়েছে। জানিয়ে দি যে বাংলাদেশে হরিণামারার পাহাড়গুলিতে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং এর জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কিছু কোটি টাকা ফান্ডিংও করা হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী বাস করছে এবং তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় বিপদে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছিলেন যে রোহিঙ্গা মুসলমানরা তাদের দেশের সুরক্ষার জন্য বড় বিপদে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “সামরিক পদক্ষেপের কারণে মিয়ানমার থেকে চলে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশ বাদে পুরো অঞ্চলের সুরক্ষার জন্য বিপদ”। এ ছাড়া কক্সবাজারে ইতিমধ্যে ফোন এবং ইন্টারনেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ। এই রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে চোরাচালান করছে এবং বাংলাদেশের নিয়মকে লঙ্ঘন করছে, যার কারণে বাংলাদেশের পুলিশরাও তাদের দ্বারা সমস্যায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

এখানে, ভারত সরকারও নিরাপত্তার কারণে ভারতে থাকা রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বাইরে বার করে দেওয়ার দিকে কাজ শুরু করছে। ভারত সরকার ইতিমধ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে CAA-র পর ভারত সরকারের দৃষ্টি এখন রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার দিকে থাকবে, যা শুনে কিছু লোক বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছিলেন, “রোহিঙ্গা মানুষের এখানে বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে। তাদের নির্বাসন সম্পর্কে কী পরিকল্পনা রয়েছে তা নিয়ে সরকার খুব চিন্তিত। তালিকা তৈরি করা হবে এবং বায়োমেট্রিক শংসাপত্রও নেওয়া হবে কারণ প্রয়োজনে CAA রোহিঙ্গাদের কোনও সুবিধা দেবে না। তারা এই তিনটি দেশ এবং ছয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের থেকে আসে না।

পাকিস্তান এবং রোহিঙ্গা মুসলমানরা হাত মেলানোতে এটি স্পষ্ট হয়ে যে এই শরণার্থী সন্ত্রাসীদের জন্য ব্রিডিং গ্রাউন্ড প্রমাণ হতে পারে। এরা যেহেতু কট্টরপন্থী মানসিকতার তাই এদের টাকা দিয়ে যেকোনো কাজই করানো যেতে পারে। পাকিস্তান শুরু থেকেই ভারতে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে এবং পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার কারণে এখন পাকিস্তান পূর্ব সীমান্ত থেকে ভারতে সন্ত্রাস রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.