বামপন্থী ছাত্রী ঐশী ঘোষের মাথা ফাটাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা থামার নাম নিচ্ছে না। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের যে পুনরাবৃত্তি পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে, তার কোনো খবর শিরোনামে মিলছে না। বাংলার সংবাদমাধ্যম হোক বা জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যম সকলেই ঐশীকে নিয়ে মাতিয়ে রেখেছে আর প্রমীলার জন্য মুখে কুলুপ এটেছে। ঐশী ঘোষের মাথা ফাটায় বুদ্ধিজীবী থেকে বলিউডের সেলিব্রেটিরা পর্যন্ত কান্না কাটি শুরু করে দিয়েছে। যদিও পরে দিল্লী পুলিশ CCTV ফুটেজ ঘেঁটে প্রমাণ পেয়েছে যে সমস্থ উপদ্রব ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে বামপন্থীরায় করেছে। অন্যদিকে প্রমীলা বর্মনকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তা নিয়ে বুদ্ধিজীবী, বলিউড সকলেই চুপ। JNU তে বামপন্থীদের সমর্থন জানানোর জন্য বলিউডের খ্যাতিনামা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও পৌঁছে গেছিলেন। অবশ্য সেটা নিয়েও অনেকে আপত্তি প্রকাশ করেছে। এক সেনা জওয়ান বলেছেন যারা কোনোদিন শহীদ পরিবারের বাড়ি গিয়ে পাশে দাঁড়ায় না, তারা আজকাল মাথা ফেটে গেলেও প্রতিবাদ করতে পৌঁছে যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের কুমারগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রী প্রমীলা বর্মনকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা শিরোনামে এসেছিল। ধর্ষককারীরা প্রমীলার ধর্ষণ করে তাকে আগুনে জ্বালিয়ে দেয় সকালে জমিতে কৃষিকাজ করতে গিয়ে এমন বীভৎস দৃশ্য দেখে শিউরে উঠে স্থানীয় বাসিন্দারা। ১৭ বছর বয়সী প্রমীলা গঙ্গাপুরের উদয় পঞ্চায়েতের পঞ্চগ্রাম এলাকার বাসিন্ধা, মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে।
রবিবার দুপুরে চাদর কেনার নাম করে সে বাড়ি দিয়ে বেড়ায় তারপর দিয়ে তার ফোন সুইচ অফ দেখাছিল, সেদিন অনেক খোঁজার পরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তারপর পরের দিন সকালে একটি নির্জন এলাকায় কালভার্টের হিউম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন বেশ কিছু গ্রামবাসী এবং তারপরই প্রমিলার লাশকে এরকম ভয়াবহ রূপে উদ্ধার করে তারা। অনেকের আশঙ্কা আছে যে যেই মাঠ দিয়ে প্রমীলার লাশ পাওয়া গেছিলো।
পুলিশ মূল অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। লক্ষণীয় বিষয়, একই সময়কালে এই দুটি ঘটনা ঘটলো, যেখানে JNU এর ছাত্রী ঐশী ঘোষের মাথা ফেটে যাওয়ায় গোটা দেশ এতো উত্তেজিত হয়ে গেলো, সেখানে একটি স্কুল ছাত্রীর এত নির্মম ভাবে ধর্ষণ হয়ে এতো ভয়াবহ মৃত্যু হলো সেই দিকে কারুর কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কোনো বুদ্ধিজীবী, বলিউডের অভিনেত্রী প্রমীলার বাড়িতে আসেননি।