বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বাঁধল বিপত্তি। ফেটে গেল বিস্ফোরক। ভয়াবহ বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠল একদিকে নৈহাটি, অন্যদিকে গঙ্গার উল্টোপাড়ে অবস্থিত চুঁচুড়া। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্যামেরাবন্দি হয়েছে আকাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া ওঠার ছবি। ভয়াবহ সেই ছবি সামনে আসতেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে কোনওরকম নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিসের দিকে উঠেছে গাফিলতির আঙুল।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই ছিল যে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। নৈহাটিতে ভেঙে পড়ে বাড়ির জানলার কাচ। পুলিসের গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কমপক্ষে ২টি গাড়িতে আগুন ধরে যায় বিস্ফোরণের জেরে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, পুলিসের গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা ছিল। ফলে বোমা নিষ্ক্রিয়করণের সময় যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন আগুন ধরে যায় পুলিসের গাড়িতে।
এদিকে বিস্ফোরণের জেরে একদিকে যখন গঙ্গাপাড়ে নৈহাটির আকাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া, তখন কেঁপে ওঠে নদীর উল্টোপাড়ে অবস্থিত হুগলির চুঁচুড়াও। কেঁপে ওঠে চুঁচুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা হেরিটেজ বিল্ডিং, চুঁচুড়া কোর্ট ও জেলাশাসক ভবন।
একাধিক বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ে পুরসভার জানলার কাঁচ। বিকট আওয়াজের তীব্রতায় চুঁচুড়া হাসপাতালের ভিতরে ব্লাড ব্যাঙ্কের ঘরের কাচও ভেঙে পড়ে। আতঙ্কে বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়েন।
ইতিমধ্যেই চুঁচুড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চুঁচুড়ার বাসিন্দারা। এর আগে ভাটপাড়াতে বোমা নিষ্ক্রিয়করণের সময়ও এমন ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পুলিসের গাফিলতির জেরেই বার বার এঘটনা ঘটছে বলে দাবি তাদের। যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।