বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনধকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। বনধের সমর্থনে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মিছিল বের করেছে বামেরা। রাস্তায় বাসের দেখা মেলেনি সকাল থেকে। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এরই মাঝে উত্তর চব্বিশ পরগনার হৃদয়পুর স্টেশনে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বাস না মেলায় ট্রেনে অফিস মুখো হওয়া যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামাতে হিমশিম খেয়েছে জিআরপি। সরকারি নির্দেশ থাকায় অফিসে যেতে বাধ্য কর্মচারীরা। এদিকে রাস্তায় বাসের দেখা নেই। মানুষ বাধ্য হয়ে ট্রেনে সওয়ার হয়েছেন। তাই ট্রেন থেকে নামতে চাননি কেউ।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনার হৃদয়পুর স্টেশনে চার খানা তাজা বোমা পাওয়া গেছে। মানুষ ট্রেন থেকে নামতে না চাওয়ার কারণে বোমা নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই বোমাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
বনধের সমর্থনে রেললাইনে বোমা রাখায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মনে। বনধ সফল করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে বনধ সমর্থকরা এসবে পাত্তা দিতে নারাজ। রেললাইনে বোমা উদ্ধারের সঙ্গে ধর্মঘটীদের কোন সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছে বামেরাও। কিছুদিন আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় যারা হিংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়েছিল তারাই এই বোমা কান্ডে যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।