ইসলামাবাদ: ভারতের যে কোনও আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাতে পাকিস্তানের জুড়ি মেলা ভার। সে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনই হোক বা ছাত্র সংঘর্ষ। জওহর লাল ইউনিভার্সিটিতে ঐশী ঘোষের ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় এবার মুখ খুলল পাক সেনা।
আসলে রবিবার ওই হামলা হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। মুম্বইতে আগেই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলিউডের শিল্পীরা। মুম্বইতে ছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ, তাপসী পান্নু, জোয়া আখতারের মত বক্তিত্বরা। আর মঙ্গলবার খাস জেএনইউ-তেই পৌঁছে যান দীপিকা পাড়ুকোন।
সেখানে গিয়ে কানহাইয়া কুমার, ঐশী ঘোষদের পাশে দাঁড়ান তিনি। কানহাইয়া তখন স্লোগান দিচ্ছিলেন। দীপিকার এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। আবার সমালোচনাও হয়েছে অনেক। কেউ কেউ দীপিকার সিনেমা বয়কট করার দাবিও জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে দীপিকার প্রশংসা করে ট্যুইট করলেন পাক সেনার মুখপাত্র আসিফ গফুর। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ভারতের বিরোধিতা করে আগেও ট্যুইট করেছেন অনেক। এদিন তিনি লিখেছিলেন, ‘সত্যের পাশে থাকার জন্য দীপিকাকে অভিনন্দন। সবকিছুর উর্দ্ধে মানবধর্ম।’
তাঁর এই ট্যুইট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই হইচই শুরু হয়ে যায়। পাকিস্তানের সাংবাদিক নায়লা ইনায়াৎ সেই স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। কিছুক্ষণ পরেই সেই ট্যুইট ডিলিট করে দেন আসিফ গফুর।
এর আগে অযোধ্যা মামলা নিয়েও মুখ খুলেছিল পাক সেনার এই অফিসার। সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁর মোটেই পছন্দ হয়নি।
একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘বাবরি মসজিদের রায়ে চরমপন্থী ভারতের কুৎসিত মুখ আরও একবার বিশ্বের সামনে এল।’ এরপর আরও একটি ট্যুইট করেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারতের মুসলিমরা নাকি আফশোস করছেন। মহম্মদ আলি জিন্নার দেখানো পথেই নাকি তাঁদের চলা উচিৎ ছিল। লেখেন, ‘ভারতের সংখ্যালঘুরা বুঝতে পারবেন যে হিন্দুত্ব নিয়ে আমাদের মহান নেতা মহম্মদ আলি জিন্নার দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে সঠিক ছিল। আজ তারা ভারতের অংশ হওয়ার জন্য আফশোস করছে।’
বিভিন্ন সময় ভারত-বিরোধী কড়া মন্তব্য করার অভ্যাস তাঁর অনেকদিনের। যে কোনও ইস্যুতেই ট্যুইট করতে দেখা যায় তাঁকে। অযোধ্যা মামলাও তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও ভারতে যখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই রায় মেনে নিয়েছেন, তখন পাক সেনার এই মন্তব্য নেহাতই হাস্যকর।