ভারতের স্বাধীনতার সময় আসে হৃদয় বিদারক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ যখন পাকিস্তানের দাবিতে “ডিরেক্ট অ্যাকশন” (প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ) শুরু হয়। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়। ভারত স্বাধীন আইনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার সাথে সাথে ভারত বিভাজনও হয়। অখণ্ড ভারতভূমির এক-তৃতীয়াংশ ভারতের এক-পঞ্চমাংশ মুসলমানদের জন্য প্রদত্ত হয়।

সীমান্তের উভয় প্রান্তের মানুষের ধর্মভিত্তিক বিনিময় এই অবাস্তব ও অযাচিত দেশভাগের সমস্যার এক অপেক্ষাকৃত বাস্তব সমাধান হতে পারত। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি দূরদর্শিতাহীন আবেগ আমাদের সেই সমাধানে পৌঁছতে দেয় নি।

 এক অন্যতর মত ছিল যে ভারত ও পাকিস্তানের নিজ নিজ সংখ্যালঘুদের প্রতি নীতি পরস্পরের সম্মতিতে গ্রহণ করতে হবে।

ডঃ শ্যামাপ্রসাদ চেয়েছিলেন যে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু নীতি স্পষ্ট হলে তবেই ভারতের তদ্রূপ নীতি গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু সংবিধান সভায় এই মত বধির কর্ণকূহরেই পতিত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সাথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলির লিয়াকৎ-নেহেরু চুক্তি ভারতের সমস্ত এক্তিয়ারকে খর্ব করে দেয় । ভারত ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল দিল্লিতে। এই চুক্তি করে কার্যত নেহেরু দুই পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের সেদেশের হিংস্র ইসলামিক মৌলবাদীর হাতে তুলে দিলেন, যাদের দ্বারা আজও তাঁরা অত্যাচারিত হয়েই চলছে।

এই দেশভাগের পর পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মাঝে সমস্যা দেখা দেয় এবং ভারত-পাকিস্তান দ্বিতীয় যুদ্ধের মুখোমুখি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.