২২ জানুয়ারি নির্ভয়া কাণ্ডে ৪ দোষী অক্ষয় ঠাকুর সিং, মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা এবং বিনয় শর্মাকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টার ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী আইনি সাহায্য নেওয়ার জন্য দোষীদের ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
দোষীদের ফাঁসির সাজা কার্যকর করা এবং নির্দেশ এগিয়ে আনার জন্য পাতিয়ালা হাইস কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নির্ভয়ার মা-বাবা। মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল থাকার পর নির্ভয়ার মা জানিয়েছেন, “আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আবার ফিরবে। আমার মেয়েটা বিচার পাবে।”
গত ১৮ ডিসেম্বর নির্ভয়া মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ২০১৭ সালের রায়ে কোনও ভুল ছিল না। নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করার কিছু নেই। মৃত্য়ুদণ্ডের সাজাই বহাল রাখা হবে। দোষী অক্ষয় ঠাকুরের রিভিউ পিটিশনও খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। অক্ষয় ঠাকুরের পর আর এক দোষী পবন গুপ্তাও আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। পবনের আইনজীবী এপি সিং-এর কথায় ঘটনার সময় অর্থাৎ ২০১২ সালে নাবালক ছিল তাঁর মক্কেল। তাই সাজা যেন জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী হয়।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী শহর দিল্লিতে গভীর রাতে ফাঁকা বাসে জোর করে তুলে নেওয়া হয় বছর কুড়ির এক তরুণীকে। মেডিক্যালের ওই ছাত্রীর উপর চলে অমানবিক অত্যাচার। নৃশংশতার সীমা পেরিয়ে পাঁচজন মিলে তরুণীকে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ৫ অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ দেয় নিম্ন আদালত। জেলে থাকাকালীনই এক দোষী রাম সিং আত্মহত্যা করে। আর এক দোষী অপরাধের সময় নাবালক হওয়ায় সর্বোচ্চ তিন বছর জেল খাটার পর ছাড়া পেয়ে যায়।