রবিবার রাতে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরমতি গার্লস হোস্টেলে ঢুকে দুষ্কৃতীদের আক্রমণ করার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশি পদক্ষেপ নিয়েও। যার রেশ ছড়িয়েছে এই রাজ্যেও। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
”জেএনইউ-কান্ডে দোষীরা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” সোমবার সকালে হাওড়ায় এক দলীয় কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করলেন, রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। পুলিশকে ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে হবে।আমি কোনও তান্ডবেরই সমর্থন করিনা। পরবর্তী সময়েও যদি কেউ এই কান্ড করে থাকেন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হওয়া উচিত। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হওয়া উচিত। যারা সিআইএস ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য মুখোশ পরে জেএনইউ এর কর্মীদের উপর হামলা করেছে।
বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্রনেতাদের উপর যারা হামলা করেছেন ১ তারিখ থেকে লাগাতার তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হওয়া উচিত। যারা বলছেন গেরুয়া তান্ডব তার আগে যে লাগাতার লাল তান্ডবের ঘটনা ঘটেছে সেই স্মৃতিও কিন্তু টাটকা হয়ে রয়েছে। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে যে দলের যত বড়ই নেতাই হোক তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তিনি জানান, ”আমার মনে হয় যারা তান্ডব চালাচ্ছেন তারা ছাত্র নয়। তারা ছাত্রছাত্রীদের আশ্রিত দুষ্কৃতী।” সোমবার আসন্ন হাওড়া পুরসভা নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয়কে সামনে রেখে বিজেপি-র পক্ষ থেকে এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয় হাওড়ার শরৎ সদনে।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, সঞ্জয় সিং, হাওড়া জেলা সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা, বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য উমেশ রাই প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন সায়ন্তন বসু আরও বলেন, ”নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে আমরা হাওড়ায় মিছিল, সভা করার অনুমতি পাচ্ছি না। এর জন্য ১৭ তারিখ হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে এক বিশাল মিছিল হবে। মিছিলে থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ থাকবেন সেই মিছিলে। আমাদের আশঙ্কা পুলিশ সেই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করতে পারে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। এভাবে জোর করে আমাদের আটকে রাখা সম্ভব নয়।”