বোরখা পড়ে রাস্তা দিয়ে দৌঁড়ে যাচ্ছেন মহিলারা। তাঁদের লক্ষ্য করে বালতিতে করে জল ঢালছে একদল লোক। এই ভিডিয়োটি শ্রীলঙ্কার হলেও তা ভারতের বলে দাবি করে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করেন।
বোরখা পড়ে রাস্তা দিয়ে দৌঁড়ে যাচ্ছেন মহিলারা। তাঁদের লক্ষ্য করে বালতিতে করে জল ঢালছে একদল লোক। এমন একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভারতে, বিশেষত দিল্লিতে মুসলিম মহিলারা নিরাপদ নন, এমনই বক্তব্য-সহ কোনও কোনও ট্যুইটার ব্যবহারকারী ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। আবার অনেকের দাবি, পাক সেনার হাতে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান গ্রেফতার হওয়ার পরে ভারতে এমন ঘটনা ঘটেছিল।
জাইদ হামিদ নামে স্বঘোষিত ‘প্রাক্তন সোভিয়েত-আফগান যোদ্ধা’ ভিডিয়োটি ট্যুইটারে শেয়ার করেন। এই ব্যক্তির দাবি, ‘এটাই ভারতের রোজকার ঘটনা।’
@fcukyuow নামে এক ট্যুইটার ইউজারও ভিডিয়োটি ট্যুইট করেন। ক্যাপশনে দাবি করা হয়,’ভারতে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এমনই ব্যবহার করা হয়’ এবং ‘বিশ্বের ধর্ষণের রাজধানীতে একমাত্র গোরুরাই সুরক্ষিত’। ৬৮,০০০ বারের বেশি দেখা হয়েছে।
সত্য-তথ্য:
এই ভিডিয়োটি ভারতের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কার। সে দেশের ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভিডিয়োটি তোলা হয়েছিল।
একাধিক ইউজার এই ভিডিয়োর নেপথ্যের সত্য-তথ্য সম্পর্কে তাদের সজাগ করলেও এই দুজন তাতে কান দেননি।
সত্য যচাই পদ্ধতি:
ট্যুইটের অসংখ্য রিপ্লাইয়ের সূত্র ধরে গুগল এবং ফেসবুকে ইংরেজিতে Ragging in Sri Lank কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে সত্যের সন্ধান পেয়েছে এই সময় সত্য-তথ্য।
নর্থ সেন্ট্রাল নামে একটি ফেসবুক পেজ গত রবিবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে, বোরখা পরা মহিলাদের ওপর জল ছোঁড়া হচ্ছে। এই পোস্টের সঙ্গে #EasternUniversity এবং #ragging হ্যাশ ট্যাগ ছিল।
শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হামেশাই র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এমনই একটি দৃশ্য: