বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় সত্যজিৎ রায়ের পারিবারিক বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করল মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। সে দেশের সংবাদপত্র ‘দ্য ডেলি স্টার’ এবং ‘প্রথম আলো’ এই খবর প্রকাশ করার পরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমাজমাধ্যমে পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘খবরে প্রকাশ যে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা, স্বয়ং স্বনামধন্য সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিজড়িত তাঁদের পৈতৃক বাড়িটি নাকি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত। এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের।’’
সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী এর পরে লিখেছেন, ‘‘রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। উপেন্দ্রকিশোর বাংলার নবজাগরণের একজন স্তম্ভ। তাই আমি মনে করি, এই বাড়ি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। আমি বাংলাদেশ সরকার ও ওই দেশের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন করব, এই ঐতিহ্যশালী বাড়িটিকে রক্ষা করার জন্য। ভারত সরকার বিষয়টিতে নজর দিন।’’
প্রকাশিত খবরে দাবি, ময়মনসিংহ শিশু অ্যাকাডেমি হিসেবে ব্যবহার করা হত জেলার সদর শহরের হরিকিশোর রায় রোডের প্রাচীন ওই বাড়ি। ২০০৭ সালের পর থেকে আর বাড়িটির কোনও ব্যবহার হয়নি। পরিত্যক্ত বাড়িটি ভেঙে তাই বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনায় কাজ শুরু করছে শিশু অ্যাকাডেমি। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।