নিজের ৪৩০ রান বা আকাশের ১০ উইকেট নয়, দ্বিতীয় টেস্টের সেরা মুহূর্ত কোনটা বাছলেন শুভমন? ডিউক বল নিয়ে হতাশ ভারত অধিনায়ক

এজবাস্টন টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজ়‌ে সমতা ফিরিয়েছে তারা। সর্বত্র আলোচনায় তাঁর নিজের ৪৩০ রান এবং আকাশদীপের ১০ উইকেট। কিন্তু এর কোনওটাকেই ম্যাচের সেরা মুহূর্ত বলে মনে করেন না শুভমন গিল। তাঁর মতে, পঞ্চম দিনে মহম্মদ সিরাজের ক্যাচটাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ভারত অধিনায়ক হতাশ ডিউক বলের মান নিয়ে।

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ৬৪তম ওভারে সিরাজ ওই ক্যাচ নেন। রবীন্দ্র জাডেজার বল ফ্লিক করেছিলেন জশ টং। শর্ট মিড উইকেটে থাকা সিরাজ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পুরো শরীর ছুড়ে দিয়ে এক হাতে ক্যাচ ধরেন।

বোর্ডের একটি ভিডিয়োয় শুভমন বলেছেন, “এই জয় সারাজীবন মনে রাখব। অবসর নেওয়ার সময়েও এটা আমার কাছে সুখের স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমার কাছে এই টেস্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হল সিরাজের ক্যাচ।”

শুভমন আরও বলেন, “হয়তো শেষ ক্যাচ আমি ধরব, এমনটাই ভবিতব্য ছিল। জিততে পেরে সবচেয়ে বেশি খুশি। আরও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আসবে আমাদের জীবনে। দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পেরে ভাল লাগছে।”

এজবাস্টনে ব্যাটে বা বলে প্রত্যেকে যে ভাবে অবদান রেখেছেন, সেটাই শুভমনের কাছে সবচেয়ে ইতিবাচক। তিনি মনে করেন, ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হয়। তা হলেই চ্যাম্পিয়ন দল তৈরি হয়। শুভমনের কথায়, “এই জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। গত ছ’-আট মাসের কথা ভেবে বলতে পারি, একটা টেস্ট ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন। বিশেষ করে এমন মাঠে যেখানে আগে কোনও দিন আমরা জিতিনি।”

ইংল্যান্ডে ডিউক বলে খেলা হয়। সেই বলের মান দিনের পর দিন কমছে বলে মনে করেন শুভমন। বলেছেন, “বোলারদের জন্য কাজটা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পিচের থেকেও দ্রুত বল ক্ষয়ে যাচ্ছে। নরম হয়ে যাচ্ছে। জানি না কী কারণে এ রকম হচ্ছে। এই বলে উইকেট পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

তৃতীয় টেস্টেও যে কুলদীপ যাদবের খেলার সম্ভাবনা নেই, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে শুভমনের কথায়। বলেছেন, “কুলদীপের মতো বোলারকে বাইরে রাখা খুবই কঠিন। কিন্তু ব্যাটিং গভীরতার কথা ভেবে ওয়াশিংটনকে খেলাতে হয়েছে।” দলের আস্থার দাম রেখেছেন ওয়াশিংটন। প্রথম ইনিংসে শুভমনের সঙ্গে তাঁর জুটি ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। ফলে লর্ডসে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের জায়গায় জসপ্রীত বুমরাহের দলে আসা ছাড়া আর কোনও বদলের সম্ভাবনা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.