#LeftAttacksJNU কিভাবে হল , কেমন ছিল ঘটনার সূত্রপাত?

১. ঘটনার সূত্রপাত হয় ২৪ শে নভেম্বরে , যখন জেএনএসইউ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়েছিল ।

২. যে সমস্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল তাদের বিপথগামী করার চেষ্টা হয়। জোর করে ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করা এবং ক্লাস স্থগিত করা হচ্ছিল।

৩. ফলত অনলাইন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী তাতে অংশ নিয়েছিল।

৪. নতুন সেমিস্টারের জন্য রেজিস্ট্রেশন লেট ফি ছাড়াই ১ থেকে ৫ জানুয়ারি সময়কালীন হিসাবে সূচিত হয়।

৫. সাধারণ শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে চেয়েছিল তবে বামপন্থীরা জোরকরে রেজিস্ট্রেশন পুরোপুরি বয়কট করে।

৬. ৩ রা জানুয়ারী মুখোশধারী বামপন্থী (প্রায় ১২ থেকে ১ টা পর্যন্ত) গুন্ডাবাহিনী বায়োটেকনোলজির ডিপার্টমেন্টএর সিআইএসে প্রবেশ করে এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য সার্ভার ভেঙে দেয় এবং তার সঙ্গে জেএনইউয়ের ওয়াইফাইও বন্ধ করে দেয়।

৭. এঈসব ভাঙচুর ও গুণ্ডামির নেতৃত্বে ছিল গীতা কুমারী, জেএনইউর প্রাক্তন সভাপতি (২০১৭-২০১৮ ) এবং মুখোশযুক্ত কমিউনিস্টরা

৮. ৪ জানুয়ারী এভিভিপি কর্মীরা সিআইএস-এ গিয়ে প্রায় দুপুর ৩ টে নাগাদ এই গুন্ডাদের হাত থেকে সার্ভার মুক্ত করেন।

৯. বামপন্থী গুন্ডারা এবিভিপি-র সাথে মারপিট শুরু করে এবং জেএনইউর নিরাপত্তারক্ষী দ্বারা গুন্ডাদের বিশ্ববিদ্যাল থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং সন্ধ্যা ৫ টার দিকে সার্ভার মেরামত শুরু হয়।

১০. ৫ ই জানুয়ারী প্রায় বিকেল ৪ টা নাগাদ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ মুখোশ ধারী বামপন্থী গুন্ডারা এবিভিপি কার্যকারিতার পিছনে অস্ত্র ইত্যাদি নিয়ে তাড়া করে। তারা পেরিয়ার হোস্টেলে প্রবেশ করে, বিশেষত এবিভিপি কর্মকার্তকে লক্ষ্য করে, ঘরের দরজা ভেঙে দেয় এবং ঘরে প্রবেশ করে এবং এবিভিপির সদস্যদের লোহার রড দিয়ে মারতে শুরু করে।

১১. পরে গুন্ডারা সাবরমতি ছাত্রাবাসে গিয়ে সেখানের কর্মীদের মারধর করে। জানলা এবং কাচের দরজা ভেঙে দেয়।

১২. তারপর তারা মাহি মান্দভিতে গিয়ে ভাঙচুর চালায়।

১৩. যেখানেই গুন্ডাগুলো এবিভিপি শিক্ষার্থীদের খুঁজে পেয়েছিল , সেখানেই নির্মমভাবে তাদের মেরে ছিল।

এটা খুবই দুঃখজনক অধ্যায় ,যে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কাল সন্ধ্যায় যা ঘটেছে। JNU এর প্রশাসক দল বিষয়টির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন।

১ জানুয়ারি ২০২০ র প্রথম শীতকালীন রেজিস্ট্রেশন ভালই চলছিল। হঠাৎই ৩ রা জানুয়ারি একদল ছাত্র উক্ত রেজিস্ট্রেশনের বিরোধীতা করতে শুরু করে। একদল মুখোশধারী লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোশধারী বামপন্থী (প্রায় ১২ থেকে ১ টা পর্যন্ত) গুন্ডাবাহিনী বায়োটেকনোলজির ডিপার্টমেন্টএর সিআইএসে জোর করে প্রবেশ করে । কমিউনিকেশন ও রেজিস্ট্রেশনের টেকনিক্যাল স্টাফদের হুমকি দেয় , সার্ভার ভেঙে দেয় এবং তার সঙ্গে জেএনইউয়ের ওয়াইফাইও বন্ধ করে দেয়। একটি পুলিশকম্পলেনও করা বই সেইসব ছাত্রদের সনাক্ত করার জন্য। যাই হোক, ৪ তারিখ সকালে পুনরায় টেকনিক্যাল স্টাফরা সার্ভার চালু করেন। তৎক্ষণাৎ , হাজারের উপর ছাত্র রেজিস্ট্রেশন শুরু করেন ও তাঁদের রুম রেন্ট জমা করতে থাকেন।

গত ৩ তারিখ সেই ছাত্রদের দল যারা রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল তারা পুনরায় ৪ তারিখ পুনফায় CIS এ ঢুকে পড়ে এবং সার্ভার ফাংশন নষ্ট করে দেয়।তারা পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট করে দেয়।, অপটিক্যাল ফাইবার ভেঙে দেয় যাতে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হয়ে যায়। ফলত, ৪ ঠা জানুয়ারি দুপুর একটা নাগাদ আবার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হয়ে যায়। আবার পুলিশ কমপ্লেন হয়।

বিগত বেশ কিছুদিন ধরে একটি রাজনৈতিক এবং অশুভ বুদ্ধি সম্পন্ন ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলি ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করে রেখেছিল। অরাজনৈতিক ছাত্র, ফ্যাকেলটি মেম্বার ও স্টাফদের বিরক্ত করছিল।

কিন্তু সব সীমা পার হল ৫ তারিখ। ৫ তারিখ রেজিস্ট্রেশন শুরু হতেই সেই ছাত্র দল ঢুকে সবাইকে মারতে শুরু করে। দুপুরের দিকে যারা রেজিস্ট্রেশন আটকাতে চায় ও যারা রেজিস্ট্রেশন চালু রাখতে চায় এই দুই দলে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়।

৫ তারিখ বিকাল ৪.৩০ নাগাদ সেই বিরোধী ছাত্রদল হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্লকে ঢুকে পড়ে ও পরে হোস্টেলে। ফলে প্রশাসক বৃন্দ ল এন্ড অর্ডার মেন্টেন করতে মাঠে নামে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত যতক্ষণে পুলিশ এসে পৌঁছয় ততক্ষনে রেজিস্ট্রেশন করছিল যেসব সাধারণ ছাত্ররা তাদের প্রচন্ড মারধর করে মুখোশ ধারী ছাত্রদল।

তারা পেরিয়ার হোস্টেলে প্রবেশ করে, রড এবং লাঠি নিয়ে। আক্রমন করে সাধারণ ছাত্রদের উপর। ঘরের দরজা ভেঙে দেয় এবং ঘরে প্রবেশ করে এবং ছাত্রদের লোহার রড দিয়ে মারতে শুরু করে। অনেকেই বাজেভাবে আহত হয়।

প্রসঙ্গত এই ছাত্রদলটি বিগত দুই সপ্তাহ ধরে ই ক্যাম্পাসের এডমিন এলাকা র সম্পত্তি ও ভাইস চেন্সলরের ঘর ইত্যাদি ভাঙচুর করছিল।

এটা খুবই দুঃখজনক যে একদল দুষ্ট খারাপ ছাত্রদের হিংসাত্মক আক্রমনের জন্য সাধারণ ছাত্ররা এফেক্টেড হচ্ছে। JNU প্রশাসক দল সেইসব ছাত্রদের পাশে থাকবেন যারা চায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগত কার্য হোক এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে।

Jnu এর প্রশাসক বৃন্দ আহত ছাত্রদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছেন । jnu প্রশাসক সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ বিরোধীতাকে সমর্থন করে।ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো হিংসাত্মক ঘটনার তীব্র বিরোধী jnu প্রশাসন। এই ঘটনা শান্তি বিঘ্নিত করে।

Jnu প্রশাসন সব সময় শান্তির পক্ষে।

https://www.financialexpress.com/india-news/jnu-violence-25-of-our-members-seriously-injured-and-11-missing-claims-abvp/1813791/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.