ইরান ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই উত্তেজক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। আশঙ্কা ঘনিয়েছে আমেরিকাতেও। আর এই পরিস্থিতিতে রবিবার ইরানের বিদেশ মন্ত্রী জাভেদ জাফিরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ইরান ও আমেরিকা উভয়ের সঙ্গেই যে ভারতের ভালো সম্পর্ক রয়েছে সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের তরফে ইরানের ওপর আঘাত হানার পর ভারত-ইরানের বিদেশমন্ত্রীর এই বৈঠক কূটনৈতিক দিক থেকে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠক শেষে এস জয়শঙ্কর টুইটারে লেখেন, “এইমাত্র জাভেদ জাফিরের সঙ্গে কথা হল। লক্ষণীয়, পরিস্থিতি গুরুতর দিকে মোড় নিচ্ছে। ভারত এই অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। যোগাযোগ রক্ষার্থে আমরা রাজি।”
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, শুক্রবার মার্কিন বিমান হানায় মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনা বাহিনীর জেনারেল সোলেমানির। আর এরপরেই হুমকি দেওয়া হয় ইরানের তরফেও। রবিবার ট্রাম্প ফের জানান, যদি কোনও মার্কিন সম্পত্তি বা ব্যক্তির ওপর আঘাত আসে তার জন্য কড়া মাসুল দিতে হবে ইরানকে। একসঙ্গে ৫২ টি প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করা হবে বলে জানানো হয় আমেরিকার তরফে।
অন্যদিকে সোলেমানের মৃত্যুর পরেই আমেরিকার উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা দেন ইরান নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। অন্যদিকে ইরান যদি প্রত্যাঘাত করে তবে তা কী ধরনের হতে পারে তা নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা আপাতত আমেরিকার হাতে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার ধারণা, তাঁদের সেনা অথবা সম্পত্তির ওপরে আঘাত হানতে পারে ইরান।
কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে ভারত যে উদ্বিগ্ন তা স্পষ্ট হয়েছে রবিবারে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যে। ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে দু’পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছে।