বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সল্টলেকের বিকাশভবনের পাশে অনশন-অবস্থানে বসেছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। ২৮ দিনের অনশন ও ৩২ দিনের অবস্থান ওঠে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে। কিন্তু আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি, তাঁদের গতমাসের বেতন থেকে ভাতার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, বেতন থেকে সরাসরি টাকা কাটা হবে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাওনা ছুটি থেকেই তা কাটা হবে। কিন্তু বাস্তবে হল উল্টো। গড়ে প্রায় ২৮ দিনের ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে একেক জনের। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগীরথ ঘোষের দাবি, কোচবিহারের ১৪৪ জন, নদিয়ার ২৬৫, দার্জিলিং জেলার ৭০ জনের ভাতা কাটা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকা যাঁরা বিকাশভবনে অনশন মঞ্চে ছিলেন, তাঁদের বেতনও কাটা হয়েছে। মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র এক দিনের বেতন পেয়েছেন এবং ভগীরথ ঘোষের কাটা হয়েছে ২১ দিনের বেতন। ভগীরথবাবুর দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও এক শ্রেণীর প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিদর্শক ও প্রকল্প আধিকারিকের যোগসাজসেই বেতন থেকে ভাতা কাটা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, সমস্ত পার্শ্বশিক্ষকদের ছুটি হাতে থাকা সত্বেও অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবেই কাটা হল ভাতা। তাঁরা খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে বিকাশভবন ও শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
2020-01-03