সিএএ বিরোধিতায় তৎপড় কিন্তু কোটায় শিশু মৃত্যুতে সমবেদনাও নেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর, কটাক্ষ বিজেপি ও বসপার

রাজস্থানের কোটায় শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। এখনও পর্যন্ত ১০০-র বেশি শিশু মৃত্যু হয়েছে। গত তিন দিনে মৃত্যু হয়েছে মোট ১১টি শিশুর। আর এই ঘটনায় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ সিএএ আন্দোলনে কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা মত্ত। অথচ কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের কোটায় ১০০ র বেশি শিশু মৃত্যু হলেও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করতে দেখা যায়নি কোনো সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা বা নেত্রীকে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানাচ্ছেন। কিন্তু চিকিৎসার গাফিলতিতে ১০০ শিশুর মৃত্যু পর তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা সমবেদনাও জানাননি তিনি বলে কটাক্ষ করেছেন বসপা নেত্রী মায়াবতী।

ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া শিশু মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১০২। তা নিয়ে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পুরো ঘটনার রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে খবর। চিঠি চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

শিশু মৃত্যুর ঘটনায় যোগী টুইটারে লেখেন “কোটার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মায়েদের এই ক্ষতি সভ্যতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। মেয়ে হয়েও বিষয়টি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কেন বুঝতে পারছেন না এটাই দুঃখের।”

কটাক্ষ করেছেন বহু জন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী। তিনি রাজস্থানের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অশোক দলের ভূমিকাকে অসংবেদনশীল আখ্যা দিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কার ভূমিকা নিয়েও। তিনি বলেছেন প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে দেখা করতে দেয়নি। তা নিয়ে চলেছে বিক্ষোভ। কিন্তু এবার যদি প্রিয়াঙ্কা কোটায় না যান, তাহলে সেদিন যে তিনি উত্তর প্রদেশে গিয়েছিলেন সেটা যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক নাটক ছিল তা প্রমাণিত হবে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, আমি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলেট একটি চিঠি দিয়েছি। আশা করব বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবেন।

অন্যদিকে গেহেলেট জানিয়েছেন, আমি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের আসার অনুরোধ করছি যাতে তারা সরেজমিনে রাজস্থানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। আমরা শিশু মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ে কোন রাজনীতি করা উচিত নয়।

কিন্তু রাজস্থান সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ক্লিনচিট দিল সূত্রের খবর যে হাসপাতালে শিশু মৃত্যু হয়েছে তার অবস্থা বেহাল। সেখানে নিবুলাইজার অকেজো। কাজ করছে না শিশু বিভাগের ওয়ার্মার। একটি ইনকিউবেটরে রাখা হচ্ছে একাধিক শিশুকে শুধুমাত্র জায়গার অভাবে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.