স্বর্ণমন্দিরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানো হয়নি! কর্তৃপক্ষের পর সেনাকর্তার দাবি খারিজ করল ভারতীয় সেনাবাহিনীও

পাক হামলা রুখতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির চত্বরে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী অস্ত্র বসানোর দাবি খারিজ করল সেনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘স্বর্ণমন্দিরে বিমান বিধ্বংসী কামান মোতায়েনের বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে জানানো হচ্ছে যে শ্রী দরবার সাহিব অমৃতসর (স্বর্ণমন্দির) প্রাঙ্গণে কোনও বিমান বিধ্বংসী কামান বা অন্য কোনও আকাশ প্রতিরক্ষা অস্ত্র মোতায়েন করা হয়নি।’’

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনার আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি’কুনহা দাবি করেছিলেন, পাক ড্রোনের হামলা ঠেকানোর উদ্দেশ্যে স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সেই চত্বরে বিমান বিধ্বংসী কামান বসানো হয়েছিল। তার আগে সোমবার সেনাবাহিনীর ১৫ নম্বর পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি দাবি করেন, ৬ মে রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাবের জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর শুরুর পরে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি সেনা।

কিন্তু স্বর্ণমন্দিরের উপর সেই হামলা ভারতীয় সেনা সফল ভাবে প্রতিরোধ করেছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্বর্ণমন্দিরকে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ছাতায় ঢেকে ফেলেছিলাম।’’ কিন্তু স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থী জ্ঞানী রঘবীর সিংহ মঙ্গলবার বিকেলে দুই সেনাকর্তার দাবি খারিজ করে দেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি’কুনহা বলেছিলেন, “স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থী আমাদের বিমান বিধ্বংসী কামান রাখার অনুমতি দেন। সম্ভবত বহু বছর পরে প্রথম বার স্বর্ণমন্দিরের সব আলো বন্ধ রাখা হয়। তাই আমরা পাকিস্তানের ড্রোনগুলিকে চিহ্নিত করতে পারি।” কিন্তু প্রধান গ্রন্থী রঘবীর বলেন, “আমার সঙ্গে সেনার তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি। (স্বর্ণমন্দিরে) সমরাস্ত্র রাখা নিয়েও কোনও কথা হয়নি।” এর পরেই স্বর্ণমন্দিরে সমরাস্ত্র মোতায়েনের কথা অস্বীকার করল সেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.