যাদবপুরে শ্যামাপ্রসাদ স্মারক সমিতির জনসভা বানচাল করতে বামপন্থীদের তাণ্ডব

ভারতীয় সংবিধান অনুসারে ভারতের যে কোনো স্থানে যে কেউ সভা করতে পারে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে। এবার প্রশাসন অনুমতি দিলে কারুর কিছু করার থাকে না।

এবার একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাই। যাদবপুরে বিজয়গড় বস্তি বসিয়েছিলেন ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই পশ্চিমবঙ্গের স্রষ্টা ছিলেন তিনি। সেই শ্যামাপ্রসাদকে বার বার অপমান করে গেছে বাংলার তথাকথিত শিক্ষিত কমিউনিস্টরা। আর শুধু শ্যামাপ্রসাদ কেন সে গান্ধীজী থেকে রামকৃষ্ণ, নেতাজি মায় রবি ঠাকুরকেও এরা অপমান করতে ছাড়েনি। যাদবপুর তথা পশ্চিমবঙ্গের ৭% কমিউনিস্টদের কাছে বুর্জোয়া হল ভারতের সকল অমুসলিম এবং প্রলেতারিয়েত হল কেবল মুসলিম, দুঃখিত প্রলেতারিয়েত হল কেবল জিহাদী মুসলিমরা তথা অনুপ্রবেশকারী দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসী মুসলিমরা এবং পাকিস্তানীরা।

এবার বলি গতকাল সন্ধ্যার কথা।

যাদবপুর শ্যামাপ্রসাদ স্মারক সমিতি, কলকাতার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ থেকে জেহাদী অত্যাচারের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত যাদবপুরের তথা সারা পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের পাস করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) সমর্থনে এক বিরাট জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল এইটবি বাসস্ট্যান্ডের পাশে কফিহাউজের নীচে তিরিশে ডিসেম্বর, ২০১৯, সোমবার, বিকেল সাড়ে চারটে থেকে। অনুষ্ঠানটির উদ্যাগকর্তা ছিলেন যাদবপুর শ্যামাপ্রসাদ স্মারক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শ্রী দিবাকর পাল।

অনুষ্ঠানের সূচনা থেকেই যাদবপুর ইউনিভার্সিটির তথাকথিত কমিউনিস্ট ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হয়ে নানা ধরনের দেশবিরোধী স্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠানের লোকদের ও দর্শকদের উত্যক্ত করতে থাকে। তাদের মুখে সেই আজাদীর স্লোগান শোনা যায় এবং নানা রকম ভাবে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এমনকি দর্শকদের গায়েও হাত তোলে তারা। অদ্ভুতভাবে অনুষ্ঠানের প্রত্যেকে নিজেকে শান্ত রাখেন এবং ঘোষণা করেন যে যেহেতু অনুমতি সাপেক্ষে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে সেহেতু যেন এই ভাবে তাঁদের উত্যক্ত করা না হয়। যখন যাদবপুরের কমিউনিস্টরা দেখে যে কোনো ভাবেই কিছুই করতে পারছে না তখন মেয়েদের এগিয়ে দিয়ে তাদের আঁচলের তলায় মুখ লুকোয়। সেই সব কমিউনিস্ট মেয়েরা অনুষ্ঠানের ছেলেদের গায়ের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে গিয়ে নিজেদের শ্লীলতাহানির অভিনয় করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় শমীক ভট্টাচার্য, শান্তনু ঠাকুর এবং স্বপন দাশগুপ্ত। উল্লেখ্য যে অনুষ্ঠানটি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই করা হয়েছিল।

এরপরেও সেই অনুষ্ঠান চলতে থাকে। মূল সমস্যা শুরু হয় অনুষ্ঠান শেষ হবার মুখে। যাদবপুরের কমিউনিস্ট ছাত্ররা জোর করে মঞ্চে উঠে মঞ্চ ভাঙচুর করতে থাকে এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালকদের প্রচণ্ডভাবে মারতে থাকে।

নীচে ছবি দেখুন :

পুলিশ রীতিমতো প্রেমিকা হয়ে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে দর্শকের ভূমিকা নেয়।

মাত্র ৭%-তেই এদের এই তাণ্ডব! তাহলে এখন ভাবতে পারছেন তো এরা যখন সংখ্যাগুরু থাকে বা এদের হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকে, তখন বিরোধীদের কী অবস্থা এরা করে?

ইসলাম ও কম্যুনিজম — এরা যখনই গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে, তখনই বুঝতে হবে এরা চাপে আছে। চাপ কাটিয়ে উঠলেই এরা সেই গণতন্ত্রকেই প্রথমে হত্যা করে, বিরোধীদের কঙ্কাল অবধি গুম করে দেবে — টেরই পাবেন না।

ভাবুন। ভাবা প্র্যাকটিস করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.