দিল্লি হাই কোর্টের হস্তক্ষেপের জেরে স্নাইপার রাইফেলের বরাত দেওয়ার আগে নতুন করে যোগ্যতামান পরীক্ষায় সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ। বেঙ্গালুরুর ছোট অস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের আবেদনের জেরে এই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিচালনাধীন আধাসেনা।
সিআরপিএফের ২০০টি স্নাইপার রাইফেল এবং ২০ হাজার রাউন্ড গুলির বরাতের দরপত্রের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল এসএসএস ডিফেন্স। তাদের অভিযোগ ছিল, দরপত্রে উল্লিখিত গুলির মানের চেয়ে উন্নততর মানের গুলি পরীক্ষাপর্বে ব্যবহার করেছিল প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি। দরপত্রে শর্ত ছিল, .৩৩৮ লাপুয়া ম্যাগনাম বল/ লক বেস গুলি ব্যবহারের কিন্তু অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ‘ফিল্ড ট্রায়ালে’ তার চেয়ে উন্নত মানের পয়েন্ট বোট টেইল (এইচপিবিটি) গুলি ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিল।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এসএসএস ডিফেন্সের প্রতিদ্বন্দ্বী দু’টি সংস্থার প্রথমটি হল শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং একটি ইজ়রায়েলি সংস্থার যৌথ উদ্যোগ পিএলআর। দ্বিতীয়টি, ক্যারাকেল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি সংস্থা আরএমইআইএল। এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম স্নাইপার রাইফেল ১০০ মিটার, ৮০০ মিটার এবং ১,০০০-মিটার ‘ফিল্ড ট্রায়ালে’ উত্তীর্ণ হলেও, ৪০০-মিটারে ব্যর্থ হয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে তাদের ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে সিআরপিএফ। এর পরেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় এসএসএস ডিফেন্স।