মহিলাদের আসন্ন এক দিনের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ডকে ৬৭ রানে হারিয়ে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পাকিস্তান। মহিলাদের আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। তবে পাকিস্তানের মহিলা দলে ভারতে খেলতে আসা অনিশ্চিত।
গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) প্রতিযোগিতায় একে অন্যের দেশে দল না পাঠানোর। এই দু’দেশ আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতার আয়োজক হলে, প্রতিযোগিতা হবে হাইব্রিড মডেলে। ভারত বা পাকিস্তানের ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে নিরপেক্ষ দেশে। এই সমঝোতা অনুযায়ী, পাকিস্তানের মহিলা দলের ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসার সম্ভাবনা কম।
দু’দেশের সমঝোতা অনুযায়ী, মহিলাদের আগামী এক দিনের বিশ্বকাপ সম্ভবত হাইব্রিড মডেলে হবে। পাকিস্তানের ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কা বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হতে পারে। যদিও আইসিসি বা বিসিসিআই এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। পিসিবিও ফতিমা সানাদের ভারতে না পাঠানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
মহিলাদের বিশ্বকাপ খেলার জন্য পিসিবি সানাদের ভারতে পাঠাতে রাজি না হলে তা মেনে নিতে হবে বিসিসিআই কর্তাদের। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দু’দেশের মধ্যে হওয়া সমঝোতা। যা নিয়ে আপত্তি করেননি আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহও। ফলে মহিলাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
২০০৮ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় বন্ধ। কোনও বহুদলীয় প্রতিযোগিতার জন্য পাকিস্তানে দল পাঠায় না বিসিসিআই। যে কারণে গত এশিয়া কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়েছে হাইব্রিড মডেলে। দু’বারই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে পাকিস্তানে পাঠাতে রাজি হয়নি বিসিসিআই। যদিও ২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে এসেছিলেন বাবর আজ়মেরা।