মুর্শিদাবাদে অশান্তির জেরে বাড়ি ছেড়ে অনেকেই পাশের জেলা মালদহে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরছাড়াদের একাংশ আশ্রয় নিয়েছেন বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর হাই স্কুলে। শুক্রবার দুপুরে সেই আশ্রয়শিবিরে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যেরা। আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলছেন ঘরছাড়াদের কয়েক জনের সঙ্গেও। কমিশনের সদস্যেরা আশ্রয়শিবির ছাড়তেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ঘরছাড়ারা।
শুক্রবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় পারলালপুর হাই স্কুল। কাউকেই ভিতরে ঢুকতে বা বেরোতে দেওয়া হয়নি। আটকে দেওয়া হয় ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে আসা আত্মীয়স্বজনদেরও। কমিশনের সদস্যেরা বেরিয়ে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়়েন ঘরছাড়াদের একাংশ। পুলিশ সূত্রে যদিও খবর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর ওই স্কুলের অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে যেতে পারেন মহিলা কমিশনের সদস্যেরা। সেখানে যাওয়ার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেরও। এই সব কিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তায় কড়াকড়ি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আবহে গত শুক্রবার অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, সুতি, শমসেরগঞ্জ-সহ কিছু অঞ্চলে। সেই গোলমালে তিন জন নিহত হন। ঘটনার তদন্তে বুধবার সিট গঠন করেছে পুলিশ। অশান্তির জেরে সাময়িক ভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হলেও গত ৪৮ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে দ্রুত বদলাচ্ছে পরিস্থিতি। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। অশান্তি কবলিত এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক করার পাশাপাশি ঘরছাড়া পরিবারগুলিকে ঘরে ফেরাতে বিশেষও উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও দোকানের তালিকা প্রস্তুত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হচ্ছে সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরির কাজ।