অর্থনৈতিক টক্কর ছেড়ে কি আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে আমেরিকা এবং চিন? নিজেই সেই জল্পনা উস্কে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বললেন, “আমার ধারণা, আমরা চিনের সঙ্গে খুব ভাল একটা বোঝাপড়ায় আসতে চলেছি।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, তা হলে কি চিনের উপর চাপানো ২৪৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে চলেছে আমেরিকা?
উল্লেখ্য, ধাপে ধাপে চিনা পণ্যের উপর শুল্কের বোঝা বাড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় আমদানি হওয়া চিনা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এখন ২৪৫ শতাংশ! বিভিন্ন দেশের উপর আমদানি শুল্ক চাপিয়েও ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে কোনও দেশ আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইলে দরজা খোলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ৯০ দিনের এই বিরতি পায়নি কেবল চিন।
ট্রাম্পের যুক্তি বাণিজ্য ঘাটতি এবং অনিয়ম রুখতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। চিন অবশ্য ‘অর্থহীন’ এই ‘সংখ্যার খেলা’ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমেরিকাকে তোপ দেগেছে। হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েওছে যে, তারা ‘শেষ পর্যন্ত’ এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। তাঁদের আশঙ্কা গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক ডামাডোল এবং অনিশ্চতার জেরে মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হবে। মন্দা দেখা দিতে পারে। ট্রাম্প অবশ্য শুল্কনীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেননি। তবে চিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।