দেশজুড়ে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই চলতি বছরের শেষ ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে দেশের তরুণ প্রজন্মকেই সামনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, দেশের এই যুব সম্প্রদায় স্বজনপোষণ, জাতপাত, বিভেদে বিশ্বাস করে না।
দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু করেন মোদী। তিনি বলেন, “শুধু নতুন বছর নয়, নতুন দশকে পা দিতে চলেছি আমরা। আর এই দশকে দেশ আরও উন্নতি করবে।” তারপরেই যুব সম্প্রদায়ের কথা তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজকের এই যুব সম্প্রদায় জাতপাত, স্বজনপোষণ, ভেদাভেদে বিশ্বাস করে না। এই যুব সম্পদায়ের কাছ থেকে দেশের অনেক আশা। তাঁরা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। এই দশক এই যুব সম্প্রদায়ের নামে হতে চলেছে। দেশের উন্নতিতে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই তরুণ প্রজন্ম। কারণ এই সময় সবার মধ্যে একটা অন্যরকমে এনার্জি, উন্মাদনা কাজ করে। তাঁরা পরিবর্তনের কথা ভাবেন। নতুন কিছু করে দেখানোর কথা ভাবেন। সেটাই আগামী দশকে দেখা যাবে।”
যুব সম্প্রদায় কেন দেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তার কারণও এদিন জানান মোদী। তিনি বলেন, “এই তরুণ প্রজন্মকে অনেকে অনেক নামে ডাকেন। কেউ বলেন মিলেনিয়ালস। কেউ আবার বলেন জেনারেশন জেড।
সত্যি বলতে এই জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদের ভাবনা-চিন্তার মধ্যে একটা একতা আছে। তারমধ্যে এটা ‘সোশ্যাল মিডিয়া জেনারেশন’। নিজেদের চিন্তাভাবনা সহজেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন এঁরা।”
এদিনের মন কী বাত অনুষ্ঠানের পর পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, বর্তমান দেশবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে একটা বড় অংশ ছাত্রসমাজ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এক হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। এই ছাত্রবিক্ষোভ কেন্দ্রের মোদী সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। কারণ, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু হলে তার সমর্থনে হাজির হচ্ছে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। আর মোদী ভালভাবেই জানেন, এই তরুণ প্রজন্মের হাতেই থাকবে আগামীদিনের ভারত গড়ার চাবি। তাই বছরের শেষ মন কী বাত অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র এই যুব সম্প্রদায়ের প্রশংসা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।