রাজস্থান রয়্যালসের সামনে জয়ের জন্য ১৮৯ রানের লক্ষ্য রাখল দিল্লি ক্যাপিটালস। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাল অক্ষর পটেলের দল। আগের ম্যাচে ভাল খেলে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়া করুণ নায়ার নিজের দোষে শূন্য রানে আউট হলেন।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ঘরের মাঠে শুরুটা অবশ্য ভাল করতে পারেনি দিল্লি। ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ৬ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে গেলেন। খুচরো রান নেওয়ার ভুল সিদ্ধান্তের মাসুল দিলেন নায়ার (শূন্য)। ফলে ৩৪ রানে বিনা উইকেট থেকে ৩৪ রানে ২ উইকেট হয়ে যায় দিল্লি। শুরুর সেই চাপ সামাল দিলেন বাংলার তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অভিষেক পোড়েল এবং লোকেশ রাহুল। ২২ গজের চরিত্র এবং বল বুঝে খেললেন তাঁরা।
বিশেষ করে অভিষেককে এ বারের আইপিএলে বেশ পরিণত দেখাচ্ছে ব্যাট হাতে। রাহুল ৩২ বলে ৩৮ রানে আউট হলেও পিচের এক দিক আগলে রেখেছিলেন অভিষেক।আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষের আস্থার মর্যাদা দিচ্ছেন চন্দননগরের বাসিন্দা। এ দিন ভাল ব্যাট করেও মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেন তিনি। ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গের বলে রিয়ান পরাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে অভিষেক করলেন ৩৭ বলে ৪৯ রান। বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের ব্যাট থেকে এল ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা।
পরের দিকে দিল্লির রান তোলার গতি করেন অধিনায়ক অক্ষর। ৪টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ১৪ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। কিছুটা চেষ্টা করলেন ট্রিস্টান স্টাবসও। তিনি অপরাজিত থাকলেন ১৮ বলে ৩৪ রান করে । মারলেন ২টি চার এবং ২টি ছক্কা। আশুতোষ শর্মা খেললেন ১১ বলে ১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। দিল্লির ইনিংস শেষ হল ৫ উইকেটে ১৮৮ রানে।
রাজস্থানের বোলারদের মধ্যে সফলতম জফ্রা আর্চার ৩২ রানে ২ উইকেট নিলেন। মাহিশ থিকসানা ১ উইকেট নিলেন ৪০ রান দিয়ে। হাসরঙ্গের ১ উইকেট ৩৮ রানে।