এসএসসি ভবনের সামনে এখনও অনশনে বসে রয়েছেন চাকরিহারাদের তিন জন প্রতিনিধি। অন্য দিকে, শহিদ মিনারের কাছে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেছিলেন চাকরিহারাদেরই আর এক অংশ। এ বার সেখান থেকে তাঁদের তুলে দিল পুলিশ। নতুন করে অবস্থান শুরু হল ওয়াই চ্যানেলে।
শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ঘণ্টাতিনেকের বৈঠকের পর রাতেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে চাকরিহারারা জানিয়েছিলেন, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শনিবার থেকে তাঁদের অবস্থান চলবে। যত ক্ষণ না পর্যন্ত যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে, তত ক্ষণ অবস্থানেই বসে থাকবেন তাঁরা। সেই মতো শনিবার দিনভর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান চলে চাকরিহারাদের। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, রবিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে দু’টি সংগঠন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান করবে। সে জন্য চাকরিহারারা ওখানে বসতে পারবে না। তা ছাড়া, ওই এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থাকার জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হয়। এর পরেই পুলিশের অনুরোধ মেনে নিয়ে গান্ধীমূর্তি থেকে সরে গিয়ে ওয়াই চ্যানেলে নতুন করে অবস্থান শুরু করেছেন চাকরিহারারা।
তবে অবস্থানস্থল পরিবর্তন হলেও চাকরিহারাদের উদ্যমে ভাটা পড়েনি। চাকরিহারাদের মঞ্চ ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ স্পষ্ট জানিয়েছে, দাবিদাওয়া পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে নড়বে না। অন্য দিকে, এসএসসি ভবনের সামনে চাকরিহারাদের একাংশের অনশন চলছে। ওএমআরের ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে অনশনে বসেছেন সুমন বিশ্বাস, পঙ্কজ রায় এবং প্রতাপ রানা। যদিও এই অনশনকারীদের ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত’ বলে শুক্রবার উল্লেখ করেছেন ব্রাত্য। তিনি জানান, যাঁরা বিকাশ ভবনের বৈঠকে এসেছেন, তাঁদের কেউ অনশন করছেন না। চাকরিহারাদের একাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। শুধু মাত্র তাঁরাই অনশনে বসেছেন।
আপাতত ওয়াই চ্যানেলে বসে নিজেদের মধ্যে আন্দোলনের পরবর্তী গতিবিধি নিয়ে আলোচনা করছেন চাকরিহারারা। এই মূহূর্তে ‘পাখির চোখ’ আগামী ১৬ তারিখ দিল্লির অবস্থান কর্মসূচি। ওই দিন থেকে কলকাতার পাশাপাশি দিল্লির যন্তরমন্তরেও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন অন্তত ১৫০ জন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী।