তৃণমূলের দলীয় সাংসদদের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় অর্থাৎ কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
মঙ্গলবার সকালে নিজের সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন বিজেপি নেতা। একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, ‘একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের অংশ গতকাল থেকে সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে। এটি সম্পর্কে একমাত্র বলতে পারে তৃণমূল সাংসদরা’।
সম্প্রতি এক তৃণমূল সাংসদ ক্ষিপ্ত হয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিসেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি প্রশ্নের মুখে ফেলেন। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়, এক পর্যায়ে এমন চিৎকার-চেঁচামেচি হয় যে, এক সাংসদ উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেন। বিষয়টি দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছোয় এবং তিনি দু’জনকেই শান্ত থাকার নির্দেশ দেন’।
এ কথা জানিয়ে তরুণজ্যোতির দাবি, বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। পরবর্তীতে তৃণমূল সাংসদদের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ অবধি এই জল গড়ায়। এটার প্রভাব পড়ে ‘AITC MP 2024’ গ্রুপে। সেখানে দু’পক্ষ পরস্পরের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ চালাতে থাকেন’।
ওই গ্রুপেই দেখা যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বার্তার জবাব দিয়েছেন কীর্তি আজাদ (এই নামেই হোয়্যাটসঅ্যাপ নম্বর সেভ করা ছিল)। তিনি লেখেন, কল্যাণ যেন ‘শিশু অপরাধীসুলভ’ কাজকর্ম না করেন। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁকে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। একজন প্রাপ্তবয়স্কের মতো আচরণ করার পরামর্শ দেন কীর্তি আজাদ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, কল্যাণবাবুর সঙ্গে তাঁর কোনও শত্রুতা নেই।
তরুণজ্যোতির শেয়ার করা স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই কীর্তির বার্তার জবাব দেন কল্যাণবাবু। কীর্তিকে পরামর্শ না দেওয়ার কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি করার জন্য তাঁকে বিজেপি বের করে দিয়েছিল। ‘গতকাল তুমি পার্টি বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলে’ বলেও তোপ দাগেন কল্যাণবাবু। সেই সঙ্গেই দুর্গাপুরে গিয়ে সাংসদের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে বছরখানেক বাকি। তার আগে নানান ঘটনায় বাড়ছে রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি। গতকালই শোনা যায়, তৃণমূলের সংসদীয় দলের অন্দরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। দলের এক প্রবীণ সাংসদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন এক মহিলা সাংসদ।