কোলাঘাট ব্লকের টোপা ও টোপা-ড্রেনেজ খালের সংযোগস্থল বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যদুপুর-পরমানন্দপুর সংলগ্ন যোগীদহে সেচ দপ্তরের নতুন কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের জন্য গত ১১ মার্চ পুরনো কংক্রিটের ব্রিজ ভেঙ্গে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এলাকাবাসীকে আগাম না জানিয়ে, কোনো ডিসপ্লে বোর্ড না দিয়ে ব্রিজ ভেঙ্গে দেওয়া ও ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজ ভাঙ্গার প্রায় মাসখানেক আগে প্রায় আড়াইশো মিটার দূরে একটি অস্থায়ী কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হলেও যোগীদহ থেকে ওই কাঠের ব্রিজ পর্যন্ত আসার রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। শুধু তাই নয়, ব্রিজ ভাঙ্গা শুরু হওয়ার ৪-৫ দিন পর ওই কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারের লোকজন উধাও হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে জলের পাইপ লাইন কেটে দেওয়ায় পরমানন্দপুরের একাংশ, জগন্নাথপুর, মার্কন্ডপুর, কৃষ্ণনগর, রামনগর প্রভৃতি গ্রামগুলির কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। ফলস্বরূপ ব্রিজের পার্শ্ববর্তী বৃন্দাবনচক ও খন্যাডিহি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হাজার হাজার মানুষজন ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে সরব কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক এই অবস্থায় দ্রুত পুরানো ব্রিজ ভাঙ্গা সহ নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ জরুরি ভিত্তিতে শুরু ও শেষ এবং অস্থায়ী ব্রিজে আসার যদুপুরের দিকের রাস্তাটি সংস্কারের মাধ্যমে ভালো করে যাতায়াতের উপযোগী করা, পানীয় জল থেকে বঞ্চিত গ্রামগুলিতে অস্থায়ীভাবে পানীয় জল পাঠানোর বন্দোবস্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আজ ব্লকের বিডিও, সেচ দপ্তরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও এসডিও(সেচ)কে স্মারকলিপি দিয়েছেন। অতি দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা না হলে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে নারায়ণবাবু জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্রিজটি একদিকে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের কেশাপাট, অন্যদিকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দেউলিয়ার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করেছে। ব্রিজটি দিয়ে খন্যাডিহি ও পরমানন্দপুর হাইস্কুলের বহু ছাত্র-ছাত্রীরাও যাতায়াত করে।