ভারতের মানুষ মহাকাশ বিদ্যায় অন্যান্য দেশের মানুষের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। কারণ এক সময় ভারত জ্ঞান বিজ্ঞানে পুরো বিশ্বকে নেতৃত্ব দিত। তবে সময়ের কালখণ্ডে বহুকিছু তথ্য হারিয়ে গেছে। অবশ্য আজও যখন অন্যান্য দেশ গ্রহণ এর সময়সীমা দেখার জন্য NASA এর দিকে তাকিয়ে থাকে, তখন ভারতীয়রা পাঞ্জি(ভারতীয় পঞ্জিকা) দেখেই সমস্থ তারিখ বলে দিতে পারে। যখন ইউরোপ সমাজে বিজ্ঞানের আবিষ্কার হয়নি তার আগে থেকে ভারতীয়রা গ্রহণ সম্পর্কে জানতো। কিন্তু ভারতীয়দের গ্রহণ পালন কে ইউরোপের লোকজন কু-সংস্কার বলে আখ্যা দিত। বছরের সর্বশেষ সূর্যগ্রহণ (Solar eclipse) আজ দেশে দেখা হচ্ছে। দেশের অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষ এই অপূর্ব দৃশ্যটি দেখছেন। অন্যান্য দেশবাসীর মতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও সূর্যগ্রহণ দেখে তার ছবি টুইট করেছেন।
ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলছেন, পাশাপাশি তাঁর কাছে বিশেষ গ্রহন দেখার চশমা রয়েছে। তবে দিল্লিতে মেঘের কারণে সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দৃশ্যমান ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ চশমার সাহায্যে এই দৃশ্য দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন, ‘অন্যান্য ভারতীয়দের মতো আমিও # সোলারাইক্লিপস ২০১৯-এর জন্য উচ্ছ্বসিত ছিলাম। তবে এখানে পুরোপুরি মেঘাচ্ছন্ন থাকায় আমি সূর্যকে দেখতে পেলাম না। তবে লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে কোজিকোডে সূর্যগ্রহণের দেখা দেখতে পেলাম। এর পাশাপাশি আমি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছি এবং এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।
বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে ভারতে সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দৃশ্যমান। তবে এটি উত্তর ভারতে আংশিকভাবে দৃশ্যমান এবং দক্ষিণ ভারতে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান। ভারতে সূর্যগ্রহণ চলবে বেলা ১ টা অবধি। গ্রহণের প্রভাব এতটাই তীব্র হয় যে সমুদ্রে জোয়ার ভাটা পর্যন্ত করে দেওয়ার ক্ষমতায় রাখে। যেহেতু মানুষের দেহের ৭০% জল। তাই দেহের উপরেও গ্রহণের প্রভাব পড়ে। তাই শাস্ত্রে গ্রহণের দিন কি কি করণীয় তা পুরোহিত বা সাধুদের থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য দেখার জন্য অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সূর্যগ্রহণ সরাসরি খালি চোখে দেখা উচিত নয় কারণ এটি চোখের ক্ষতি করতে পারে। এটি ছাড়াও সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য বিশেষ সৌর ফিল্টার বা গ্রহণের চশমা ব্যবহার করা উচিত।